সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

জিয়া, এরশাদ, খালেদা- কেউ এ মাটির সন্তান নয় : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৩৬ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না, কারণ তাদের কারো জন্মই এ দেশের মাটিতে হয়নি। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং আমি এ মাটির সন্তান। আামাদেরকে ছাড়া এখন পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা বাংলাদেশের বাইরে থেকে এসেছে।’ ইতালি সফররত প্রধানমন্ত্রী রোমের পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ইতালির শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বিহারে, এরশাদ কুচবিহারে এবং খালেদা জিয়া শিলিগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, তা হলে দেখতে পাবেন আমি এবং বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কেউই বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়।

‘আমি, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে, এ মাটির প্রতি আমার কিছু কর্তব্যবোধ রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য দেশকে ভালোভাবে জানা অপরিহার্য।

‘অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন। তবে, তারা দেশকে ভালোভাবে জানতেন না কেননা তাদের এ মাটিতে জন্মই হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক এবং তিনি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ‘সঠিক পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা একটি দেশকে অবশ্যই বদলে দিতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা দেশের উন্নয়নের কথা কখনোই ভাবেননি।

‘ক্ষমতাকে আমরা জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ বলে মনে করি। এটি জনগণের সেবা করার সুযোগ… আর আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য,’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু দেশের উন্নয়ন চায়। আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবো।’

বাংলাদেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ এখন নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেয়ার কথা বলি না। তারা এখন (উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সহযোগিতা করতে) আমাদের কাছে আসে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম-নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক হাজার জনকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ডিজিটাল পাসপোর্টের পরবর্তীতে আধুনিক ই-পাসপোর্ট চালু করেছে, বলেন তিনি।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অনেকসময় প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শুনে বাইরে থেকে আসবে, তখনই ভাবে যে একটু চাপ দিলেই মনে হয় কয়েকটা ডলার পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ঘুষ যে দেয় সেও যেমন অপরাধী, যে নেয় সেও অপরাধী। উভয়ই সমান অপরাধী। দিয়ে দিয়েই আপনারা এ অভ্যাসটা খারাপ করেছেন। আগামীতে এ কাজটা আর করবেন না।’‌

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইদ্রিস ফরাজী এবং ইতালী প্রবাসী হোসনে আরা বেগম। সূত্র : ইউএনবি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com