সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

খুলনায় এলপি গ্যাস সঙ্কট, বিপাকে ক্রেতারা

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯০ বার

খুলনার বাজারে হঠাৎ করে এলপি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা টাকা দিয়েও গ্যাস কিনতে পারছেন না।

অভিযোগ রয়েছে, গ্যাস নিয়ে লুকোচুরির কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বেশি দাম দিয়েই গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রাহকরা।

গত কয়েক দিন নগরীর শেখপাড়া, ময়লাপোতা মোড়, সঙ্গিতা সিনেমা হলের মোড়, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজারসহ ১০টির বেশি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পরিবেশক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দু-একটি কোম্পানির বাইরে কোনো এলপি গ্যাস সিলিন্ডার নেই। আগে যেখানে তারা ছয়-সাতটি কোম্পানির এলপি গ্যাস রাখতেন, এখন তারা দু-তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে সিলিন্ডার গ্যাস পাচ্ছেন। খালি সিলিন্ডার পড়ে আছে অনেক বিক্রেতার দোকানে।

নগরীর শামসুর রহমান সড়কের এলপি গ্যাস বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে ছয়টি অপারেটরের প্রায় ২০০টি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তিনি। অপারেটরদের কাছ থেকে সরবরাহ না পাওয়ায় গত মাসে তার ৪০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।

তিনি জানান, বেশি দাম দিয়েও এলপি গ্যাস দোকানে তুলতে পারছেন না তিনি। স্বাভাবিক সরবরাহ দেয়া কোম্পানিগুলো এখন সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও পাবেন কিনা সেই আশাও পাচ্ছেন না তিনি।

একই কথা জানান গোবরচাকা বউ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সবুজ। তিনি জানান, প্রতি মাসে দুটি এলপিজি কোম্পানি অন্তত ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও এখন ঠিকমতো পণ্য পাচ্ছেন না। গ্যাসের সঙ্কট জানিয়ে সরবরাহকারীরা পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না। তবে বেশি দাম অফার করলে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সরবরাহ কমার বিষয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য দিতে নিষেধ রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।

তাদের ভাষ্য মতে, ডলার সঙ্কটে পণ্য আমদানিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়েছে। এরই মধ্যে সব কোম্পানির বিপণন ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে।

নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে (২ জানুয়ারি) এলপি গ্যামের দাম কমিয়ে দেয় সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

দাম কমানোর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার ছিল। জানুয়ারি মাসে যা কমে যায় ৫৯০ ও ৬০৯ ডলারে।

কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হাজার ৩৫০ টাকার নিচে কোনো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বসন্ধুরা গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ওই গ্যাস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ১৫০০ টাকায়ও গ্যাস বিক্রি করছেন।

সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা এলপি গ্যাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোবারক হোসেন তপু বলেন, কোম্পানিগুলো গ্যাস দিচ্ছে না। ৫০ সিলিন্ডার চাইলে ১০টি দিচ্ছে। তারা আমাদের বলছে, এলসি খোলা যাচ্ছে না, ডলার সঙ্কট। সত্য-মিথ্যা তারাই জানে।

তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু নেই। গ্যাস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করে ৮/১০টি কোম্পানি। তারা যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com