বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয়বারের মতো হারের স্বাদ পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। হাজারো সমর্থককে নিরাশ করে নিজেদের মাঠেই রংপুর রাইডার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ফলে রাতের ম্যাচে ফরচুন বরিশাল জয় পেলে শীর্ষস্থান হারাতে হতে পারে সিলেটকে।
আজ শুক্রবার নিজেদের মাঠে চেনা সমর্থকদের সামনে অচেনা সিলেটের দেখা মিললো। টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি এভাবে ভেঙে পড়বে, তা কেউ কল্পনাতেও ভাবেনি। প্রতিপক্ষ রংপুরও হয়তো ভাবতে পারেনি। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের তালিকায় ঢুকে যেতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্সে নাম। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে সেই লজ্জা থেকে রক্ষা পায় সিলেট।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮.৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। যাদের কেউ যেতে পারেনি দুই অংকের ঘরে, সর্বোচ্চ ৯ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। টানা দ্বিতীয় গোল্ডেন ডাক মেরেছেন মুশফিকুর রহিম। রানের দেখা পাননি তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানও। তাছাড়া টম মরিস ২, থিসারা পেরেরা ৩ ও ইমাদ ওয়াসিম আউট হন ১১ বলে ১ রান করে।
অষ্টম উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাট করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তানজিম হাসান সাকিব। দুজনে মিলে ধ্বংসস্তূপ থেকে তোলে আনেন দলকে, এনে দেন মান বাঁচানো সংগ্রহ। দু’জনের জুটিতে আসে ৪৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। মাশরাফি আউট হন ২১ রান করে, ৩৬ বলে ৪১ রান আসে তানজিমের ব্যাটে।
এদিকে রংপুরের বোলাররা যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, কার থেকে কে বেশি ভালো বল করতে পারেন। শুরুটা যদিও আজমতুল্লাহ ওমরজাই আর শেখ মেহেদীর মাঝেই হয়, তবে সময়ের সাথে সাথে দু’জনের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন হাসান মাহমুদ। হাসান ১২ রানে ৩, ওমরজান ১৭ রানে ৩ ও শেখ মেহেদী শিকার করেন ১২ রানে ২ উইকেট। একটি উইকেট যায় হারিস রউফের ঝুলিতে।
৯৩ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রান আসে রংপুরের উদ্বোধনী জুটিতে। নাইম শেখ আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিরেন ১৮ রানে। দুই অংকের ঘরে পৌঁছায়নি শেখ মেহেদীর ইনিংসও, ৮ রান করে মাশরাফির প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। পরের বলেই শোয়েব মালিককে গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে সাজঘরের পথ দেখান সিলেট অধিনায়ক।
আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা আজমতুল্লাহ ওমরজাই এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি, ৪ রান করতেই আমিরের শিকার হন তিনি। তবে দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা আরেক ওপেনার রনি তালুকদার একপাশ আগলে রেখেই খেলতে থাকেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুজনের ২০ বলে ২৭ রানের জুটিতে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে সিলেট। রনি তালুকদার ৩৮ বলে ৪১ ও নাওয়াজ অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ১৮ রানে।