যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও কানাডার কিছু অংশে অব্যাহত শীতকালীন মেরু ঝড়ে দু’দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সপ্তাহের শেষ নাগাদ তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
প্রচন্ড ঠান্ডা আর দমকা বাতাসে নিউইয়র্কের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাইস শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার তাপমাত্রছিলো ৭ ডিগ্রী ফানেরহাইট। ফলে অধিকাংশ নগরবাসী বাসা-বাড়ীতেই অবস্থান করছেন। রাস্তাঘাঠে লোক চলাচল নেই বললেই চলে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠাও বন্ধ। যদিও আকাশ পরিচ্ছন এবং জলমলে সূর্যের আলো। কিন্তু ঘর থেকে বেরুলেই বুঝা যাচ্ছে মীতের তীব্রতা। এদিকে শনিবার-রেববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অনেকেই স্বস্তিতে আছে।
ইউএসএ টুডে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) এক সতর্কবার্তায় জানায়, মিসিসিপি উপত্যকা থেকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। সাথে বাড়বে হিমশীতল বায়ুর প্রভাব। গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত ও তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত বাসিন্দারা। বরফে ঢাকা পড়ে ঘটছে, একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনার দুর্ঘটনাও লিপিবদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাতিল করা হয়েছে হাজারখানেক ফ্লাইট। এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০’এ। তাদের মধ্যে সাতটি ঘটনাই টেক্সাসে। হাজার হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়। জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, যেহেতু বরফ শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণ হবে, তাই দক্ষিণাঞ্চল থেকে মধ্য-দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত আরও দুর্যোগের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বরফ গলা পানিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বনাঞ্চল।