শেষ রক্ষা হলো না রংপুরের, কুমিল্লার কাছে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করা হলো না তাদের। বিপরীতে ৭০ রানের বড় জয় নিয়ে শীর্ষ দুই নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। এই জয়ের ফলে টানা ৯ ম্যাচে জয় পেল ইমরুল কায়েসের দল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আজ টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে কুমিল্লা। যদিও অর্ধশতক ছোঁয়া হয়নি লিটনের, ৩৩ বলে ৪৭ করে ফিরেছেন এই ব্যাটার। তবে খুশদিল শাহ আর জাকের আলির দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে শেষটা ভালোই করে কুমিল্লা।
এই দিন মাঠে নেমেই আগ্রাসী খেলতে থাকে কুমিল্লার দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫ ওভারে ৪৩ রান। আসরে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজওয়ান, আউট হন ২১ বলে ২৪ রান করে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ওয়ানডাউনে নামা সুনিল নারিন আউট হলেও সেই ওভারে আসে ২০ রান।
পাওয়ার প্লেতে ৬৩ রান তুললেও এরপর খানিকটা কমে আসে রানের গতি। ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৪১ বলে ৩৮ রান। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লিটন দাস সীমানায় শামিম পাটোয়ারীর হাতে ক্যাচ হলে শেষ হয় তার ইনিংস, ৪৭ রানে ফিরেন তিনি। পরের ওভারেই ফেরেন ইমরুল কায়েসও ২০ বলে মাত্র ১৯ রান আসে তার ব্যাটে।
তবে জাকের আলি অনিক আর খুশদিল শাহ মিলে ফের বাড়িয়ে তুলেন রানের গতি। দু’জনে মিলে গড়েন ৪০ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী জুটি। শেষ পাঁচ ওভারে আসে ৬০ রান। শেষ ওভারে ২৩ বলে ৩৪ রান করে জাকির আউট হলেও ২০ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল শাহ। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। ২ উইকেট নেন ওমরজাই।
১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাঁড়াতেই পারেনি রংপুর। ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল। রাহমানুল্লাহ গুরবাজের ২৯ ছাড়া বলার মতো স্কোর ছিলো না আর কারোই। কুমিল্লার বোলিং বিভাগকে এই দিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মুস্তাফিজুর রহমান, যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তানভীর ইসলামও।
তৃতীয় ওভারেই মাত্র ১২ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন নাইন শেখ। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও ভরসার মূল্য দিতে পারেননি, ১৩ বলে ১৩ আসে তার ব্যাটে। ওয়ানডাউনে নেমে যা একটুখানি লড়াই করেছেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ।
রাহমানুল্লাহকে একপ্রান্তে রেখে অপরপ্রান্ত থেকে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহান, টম ক্যাডমোর ও শামিম পাটোয়ারী। শামিম দুই অংকের ঘরে (১১) গেলেও, সোহান ৭ ও ক্যাডমোর আউট হন ১ রান করে। ১১ ওভারে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর। শেষ দিকে ওমরজাইয়ের ১৫ ও রাকিবুল হাসানের ১৬ রান শুধু হারের ব্যবধান কমায়। শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০৭ রানেই থামে রংপুরের ইনিংস।
৩ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুটো করে উইকেট নেন সুনিল নারিন ও তানভীর ইসলাম। ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন তানভীর।