জমে উঠেছে বিপিএল, কেড়ে নিচ্ছে সবার নজর। প্রতি মুহূর্তে ছড়াচ্ছে উত্তাপ, বাড়ছে আকর্ষণ। চার-ছক্কায় কাঁপছে দেশ, ক্রিকেট পাড়া হয়ে উঠছে সরগরম।
বিপিএলে দলগুলোর এমন লড়াইয়ের মাঝে নিরব লড়াই চলছে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও। বিশেষ করে সেরা রান সংগ্রাহকের পদ নিয়ে লড়াই হচ্ছে সমানে। কেউ কথা বলছে না কাউকে ছেড়ে।
বিপিএলের প্রথম ধাপের ঢাকা পর্ব শেষে তৌহিদ হৃদয় ছিলেন রান সংগ্রাহকের শীর্ষে। তবে চোটে পড়ে চট্টগ্রাম পর্ব খেলা হয়নি তার, ফলে সেই পদটা দখলে নেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ধাপের ঢাকা পর্ব শেষে সিলেট পর্বও শুরু হয় সাকিবকে সেরার আসনে বসিয়ে। তবে সিলেট থেকে যখন দলগুলো বের হয়ে আসে, তখন শীর্ষস্থান নাজমুল হোসেন শান্তর দখলে।
তৃতীয় ধাপের পর্বে এসে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন তৌহিদ হৃদয়। গ্রুপ পর্ব শেষেও তা ধরে রেখেছেন তিনি। যদিও হৃদয়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। খানিকটা দূরে অপেক্ষা করছেন লিটন দাস ও রনি তালুকদারও। মাঝে নাসির, রিজওয়ান, আফিফ ও ইফতেখারের নাম থাকলেও তারা ইতোমধ্যেই বিদায় বলেছেন বিপিএলকে।
গ্রুপ পর্ব শেষে ৯ ইনিংসে ৩৭৮ রান নিয়ে সবার উপরে তৌহিদ হৃদয়। দুই নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসান ১১ ইনিংসে করেছে ৩৭৫ রান। সাকিবের থেমে মাত্র ১ রান দূরে নাজমুল হোসেন শান্ত, তার রান ৩৭৪। তাছাড়া রনি তালুকদার ১১ ইনিংসে ৩৩০ ও লিটন দাস করেছেন ১১ ইনিংসে ৩১৭ রান।
তাছাড়া প্লে অফ থেকে দল বাদ পড়ায় রেস থেকে ছিটকে গেছেন ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক নাসির হোসেন ও চট্টগ্রামের আইকন ক্রিকেটার আফিফ হোসেন। চার নম্বরে থাকা নাসির ১২ ইনিংসে করেছেন ৩৬৬ রান আর আফিফ সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩৪৪ রান নিয়ে আফিফ আছেন সাতে।
মাঝে পাঁচ ও ছয় নাম্বারে আছেন পিএসএল খেলতে দেশে ফিরে যাওয়া রিজওয়ান ও ইফতেখার। ১০ ইনিংসে ৩৫১ রান নিয়ে পাঁচে রিজওয়ান ও ১১ ইনিংসে সমান ৩৫১ রান নিয়ে ছয়ে আছেন ইফতেখার। সেরা রান সংগ্রাহক হবার সম্ভাবনা থাকলেও এখন আর সুযোগ নেই ওই দুই পাকিস্তানি ব্যাটারের।
এদিকে রানের বিচারে তৌহিদ হৃদয় এগিয়ে থাকলেও স্ট্রাইকরেট আর ছক্কার বিচারে সাকিব তাদের থেকে ঢের এগিয়ে। এবারের বিপিএলে সাকিব রান করছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭৪.৪৩ স্ট্রাইকরেটে। আর ছক্কার দিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিব ছয় হাঁকিয়েছেন ২২টি। তার থেকে মাত্র ১টি ছক্কা বেশি মেরেছেন ইফতেখার।