কোনো চমক কিংবা অবিশ্বাস্য কিছুই ঘটলো না, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশ। বাঘিনীরা হেরে গেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ফলে বিশ্বকাপে জয়ের মুখ দেখা হলো না জ্যোতিদের, ১৪ ম্যাচ খেলেও এখনো বিশ্বকাপে জয়হীন বাংলাদেশ নারী দল।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া ব্যাট হাতে জ্যোতি ছড়াতে পারেনি আর কেউ। অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম, একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক। ১৯তম ওভারে আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে ৫০ বলে ৫৭ রান।
এর আগে ৭ রানেই ভাঙে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি, ৪ বলে ১ করে ফিরেন শামিমা সুলতানা। মুর্শিদা খানতুনও ফিরেন দ্রুত, ৭ রান আসে তার ব্যাটে। মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সুভানা মুস্তারিকে নিয়ে ২৭ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন জ্যোতি। মুস্তারি আউট হন ১৭ বলে ১২ রান করে।
এরপর মাঠে আসেন স্বর্ণা আক্তার। তার সাথে জ্যোতি ৪৪ রানের জুটি গড়লেও স্বর্ণার ব্যাটিং ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। রানের গতি যেন পেছন থেকে টেনে ধরে রেখেছিলেন এই ব্যাটার। আউট হবার আগে একটা চার হাঁকিয়ে রান বাড়ালেও তা গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ বলে মোটে ১২ রান! ১৬.১ ওভারে দলীয় ৮৬ রানে স্বর্ণা আউট হন।
স্বর্ণা আউট হবার আগেই অবশ্য অর্ধশতক তুলে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ, ৪ রান করেন রুমানা ও ৬ রানে আউট হন নাহিদা। মাঝে ৫৭ রান করে ফিরেন নিগারও। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
১০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা দেন মারুফা আক্তার। আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য বোলিং করা এই পেসার ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এই ম্যাচেও। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২য় স্থানে থাকা বেথ মানিকে মাত্র ২ রানে ফেরান মারুফা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১ রান দেন এই পেসার।
মাত্র ৯ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পথ হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। আরেক ওপেনার অ্যালিসা হিলি এবং অধিনায়ক ম্যাগ লেনিং কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। দলীয় ৭৮ রানে হিলি আউট হলেও ম্যাগ ল্যানিংয়ের অপরাজিত ৪৮ রানের উপর ভিত্তি করে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন হিলি, তাকে ফেরান স্বর্ণা আক্তার। এশলে গ্রেন্ডার অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ১৯ রানে। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মারুফা ও স্বর্না।