কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে গুরুতর আহত রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সলিম মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া বুধবার দুপুরে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত দুই শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি-২ ব্লকে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে মোহাম্মদ সলিম গুরুতর আহত হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশীদ। আহত মোহাম্মদ সলিমকে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রয় শিবির সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ সকালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ সলিম (২৮) উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির সি-ব্লকের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সাব-মাঝি (সহকারী কমিউনিটি নেতা) হিসেবে দায়িত্বরত।
এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক হারুনুর রশীদ জানান, বুধবার রাতে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকে মোহাম্মদ সলিম ‘স্বেচ্ছায় পাহারায়’ নিয়োজিত কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজের তদারকি করছিলেন। এতে স্বেচ্ছায় পাহারাকর্মীদের সাথে আলাপের এক পর্যায়ে মুখোশ পরিহিত ১০/১৫ জনের অজ্ঞাত একদল দুষ্কৃতিকারী তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় মোহাম্মদ সলিমকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিকারীরা উপর্যুপরি গুলি ছুড়ে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়।
এডিআইজি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে এপিবিএন অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার দুপুরে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই শিশু উম্মে হাফসা ও আবুল ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের দুজনকে প্রথমে এমএসএফ হাসপাতাল পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশু দুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।