হঠাৎ করেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৩৬ ডলার। তবে বিশ্ববাজারে সোনার বাড়লেও এখনই দেশের বাজারে বাড়ানো হচ্ছে না। দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সংশ্লিষ্টরা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সোনার দাম পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বসবে। যদি বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে এবং স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম বাড়ে, তাহলে ওই বৈঠক থেকে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার আগে এক মাস ধরে টানা দরপতন হয় সোনার দামে। এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১৩৫ ডলার কমে যায়। বিশ্ববাজারে টানা দরপতনের মধ্যে সম্প্রতি দেশের বাজারে দুই দফায় সোনার দাম কমানো হয়েছে। অবশ্য তার আগে টানা ছয় দফা দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে সোনার দাম।চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দাম বেড়ে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার ভরি ৯৩ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি। রেকর্ড দাম হওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে দুই দফা সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়।
সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়।। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।