সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কখনো সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। অবশেষে সেই অতৃপ্তি দূর হয়েছে। রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। মিরাজের মতো করে তাই বলাই যায়, ‘এখন আমরা বলতে পারবো বিশ্বের সব দলের সাথে সিরিজ জিতেছি।’
এই সিরিজ জয়ের অন্যতম রূপকার সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বেই তো প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারানোর কীর্তি গড়েছে টাইগাররা। নেতৃত্ব তো বটেই, ব্যাট-বল হাতেও উজ্জ্বল সাকিব। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের পাশাপাশি ১টি উইকেটও দখলে নেন সাকিব। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি, তবে বল হাতে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত; ভয়ংকর হতে থাকা ফিলিপ সল্টকে ফেরান এই অলরাউন্ডার, বলা যায় বাংলাদেশকে ম্যাচেও ফেরান তিনি।
এইদিন বল হাতে তিন ওভারের মাঝে ১০টি বলেই কোনো রান দেননি সাকিব। সুবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের বিরল এক রেকর্ডের মালিক বনে যান এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ডট বল করার কীর্তি এখন সাকিবের দখলে। মোট বলের ৩৯.০৯ শতাংশ ডট দিয়েছেন তিনি; সংখ্যায় যা ৯৩৯ বল।
এইদিন আরো একটা রেকর্ডের মালিক বনে যান সাকিব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে জয় পাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টপকে সাকিবই এখন বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জেতা ক্রিকেটার। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন সাকিব।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফী, তার অধীনেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, খুঁজে পায় আত্মবিশ্বাস। এই সময়ে ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন মাশরাফী, যার মাঝে ১০টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে রোববার যদিও তাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান।
মাশরাফীর ১০ জয় টপকে অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ জেতা ক্রিকেটার এখন সাকিব আল হাসান। তিন মেয়াদে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলকে মোট ৩৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন সাকিব। এই সিরিজের দুই জয়সহ তার অধীনে বাংলাদেশ মোট ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে তার থেকে বেশি জয় আছে শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, ৪৩ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে ১৬টি ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন তিনি।