দেখতে দেখতে দ্রæত চলে যাচ্ছে সময়। আর মাত্র ১০ দিন। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২২ এর আয়-ব্যয়ের ট্যাক্স ফাইলিংএর শেষ দিন। যারা এখনো ট্যাক্স রিটার্ন সম্পন্ন করেননি তাদের ঐদিনের মধ্যে ব্যক্তিগত বা বিজনেস ট্যাক্স ফাইল করতে হবে। যারা ব্যস্ত বা অন্য কারণে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ট্যাক্স ফাইল করতে পারবেন না, আইআরএস তাদের পরামর্শ দিয়েছে তারা যেন এক্সটেনশন চেয়ে আবেদন করেন ১৮ এপ্রিলের মধ্যে। এক্সটেনশন চাইলেও যদি তাদের কোনো ট্যাক্স দিতে হয় আইআরএসকে, তাদের সেই এস্টিমেটেড অর্থ এক্সটেনশনের সাথে পে করতে হবে।
উল্লেখ্য, আইআরএস সর্বাধিক ৬ মাসের জন্য এক্সটেনশন দেয়। ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এক্সটেনশন চেয়ে আবেদন করলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তা মঞ্জুর করা হবে। কিন্তু ১৫ অক্টোবর রবিবার হওয়ায় তা ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত হবে।
যারা ই-ফাইলিংএর মাধ্যমে এক্সটেনশন চান, তারা ভিজিট করতে পারেন irs.gov ওয়েবসাইট। অথবা নিজস্ব আইআরএস অনুমোদিত ট্যাক্স প্রিপেয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তবে যারা রিফান্ড পেয়েছেন, কিংবা যেসব ট্যাক্স ফাইলার জানেন, তারা রিফান্ড বা ট্যাক্স ক্রেডিট থেকে বিপুল অর্থ পাবেন তারা বছরের শুরুতেই ট্যাক্স রিটার্ন সম্পন্ন করেছেন। তাদের অধিকাংশই রিফান্ড ও ট্যাক্স ক্রেডিটের অর্থ পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই। অনেকে খরচও করে ফেলেছেন।
সাধারণত ট্যাক্স রিফান্ডের অর্থ খরচ করা হয় নতুন ফার্নিচার বা ইউজড গাড়ি কিনতে, বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়ার বিমান টিকিট কিনতে, বাড়ির মর্গেজ দিতে, ধার শোধ করতে, বাড়ি মেরামত করতে। অনেক নারী গহনা কিনতেও এই রিফান্ডের অর্থ খরচ করেন। ফলে বছরের এই সময়টা ফেব্রæয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অনেক স্বল্প আয়ের পরিবারে এক ধরনের আনন্দধারা বইতে থাকে। তবে যাদের আয় বেশি তাদের ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। আয় যত বেশি, ইনকাম যত বেশি, ট্যাক্সও দিতে হয় তত বেশি। কিন্তু আয় যত বেশিই হোক না কেন খুশিমনে কেউ ট্যাক্স দিতে চায় না। অনেক স্মল বিজনেস মালিককে যথাযথভাবে সিটি, স্টেট ও ফেডারেল ট্যাক্স দিতে হয় যত, তাতে অনেক সময় তারা হিমশিম খেয়ে যান।