বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫৫ বার

দেশে দারিদ্র্যেরর হার কমলেও গ্রামে দরিদ্রের হার বেশি। দারিদ্র্যের হার এখন ১৮.৭ শতাংশ। যা ২০১৬ সালের জরীপ অনুযায়ী অফিশিয়াল দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো (বিবিএস)।

বুধবার আগারগাঁওস্থ বিবিএস অডিটোরিয়ামে খানা আয় ও ব্যয় জরীপের তথ্য প্রকাশের সময় এসব তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন তুলে ধরেন, প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।

বিবিএসের জরীপে বলা হয়, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ। যা পল্লীতে ২০.৫ শতাংশ ও ১৪.৭ শতাংশ শহরে। অন্যদিকে অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশ। যা পল্লী এলাকায় ৬.৫ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৩.৮ শতাংশ। ২০১০ সালের জরীপ অনুযায়ী অফিশিয়াল দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১.৫ শতাংশ। এ হতে পরিলক্ষিত হয় যে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

বৈষম্য
২০২২ সালের জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, আয়ের জন্য গিনি সহগের মান ০.৪৯৯। যা ২০১৬ সালে ছিল ০.৪৮২ এবং ২০১০ সালে ছিল ০.৪৫৮। অন্যদিকে, ২০২২ সালে ভোগব্যয়ের জন্য গিনি সহগের মান ০.৩৩৪। যা ২০১৬ সালে ছিল ০.৩২৪ এবং ২০১০ সালে ছিল ০.৩২১।

জরীপ বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় খানার অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১৪.১ শতাংশ খানার অন্তত ০১ জন সদস্যের জরিপ পূর্ববর্তী ১২ মাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। যা ২০১৬ সাল ৭.৫% ও ২০১০ সাল ৭.৪%। এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

২০২২ সালে পরিচালিত খানার আয় ও ব্যয় জরিপে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী খানার শতকরা হার ৯৯.৩২ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতায়নের হার প্রায় শতভাগ। একইভাবে ৯২.২১% খানা উন্নত টয়লেট সুবিধার আওতাধীন এবং ৯৬.১% খানায় নিরাপদ খাবার পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৫.৬ শতাংশ।

জরিপে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের আলোক, দেশে বর্তমানে (২০২২) থানার গড় মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

ক্যালরি গ্রহণ
তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, খানার খাদ্যপণ্য ক্রয় সংক্রান্ত ব্যয়ের তুলনায় খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ দৈনিক ২৩৯৩ কিলোক্যালরি। যা ২০১৬ সালে ছিল ২২১০.৪ কিলোক্যালরি এবং ২০১০ সালে ছিল ২৩১৮.৩ কিলোক্যালরি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com