রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটাননি তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলেছেন ৪১ রানের ইনিংস। তারপরও এটা কি খুব বেশি কিছু? উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। স্বচ্ছন্দে খেলছিলেনও তিনি। সম্ভাবনা জাগাচ্ছিলেন বড় কিছুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না দেশসেরা এই ওপেনার। ফিফটি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।
আর এটাই জিম্বাবুয়ের সাথে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খবর। ভালো খেলে বড় জুটি গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সেট হয়ে আউট হয়ে যাওয়া যেন টাইগারদের কাছে ‘ডাল ভাতে’ পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২০ রান। অবশ্য তামিম সেট হয়ে আউট হয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে ভালো খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। তার সাথে সঙ্গ দিচ্ছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ ও মুমিনুল হক ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
একমাত্র এই টেস্টে দিনের শুরুতে বোলাররা নিজেদের কাজটা ভালো মতো করলেও বরাবরের মতো ওপেনিংয়ে ছিল ব্যর্থতা। দলীয় ১৮ রানেই বিদায় নেন ওপেনার সাইফ হাসান। তামিম ইকবাল অবশ্য শুরুতে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করলেও অন্যপ্রান্তে সাইফ বিপদ ডেকে আনেন দলীয় চতুর্থ ওভারেই। নিয়ুচির বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে সাইফ গ্লাভসবন্দী হয়েছেন ৮ রানে।
এর আগে রোববার সকালে আগের দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন রেগিস চাকাভা ও ডোনাল্ড ত্রিপানো। খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিরিপানোকে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ রাহী। সেই জের না কাটতেই এন্সলে এনদিলোভুকে বিদায় করেন তিনি। এরপর চার্লটন টিসুমা এবং চাকাভাকেও বেশিক্ষণ থাকতে দেননি তাইজুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ১০৬ দশমিক ৩ ওভারে ২৬৫ রানে থামে সফরকারী দলের প্রথম ইনিংস।
এর আগে শনিবার টাইগারদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীরা সতর্কভাবে ম্যাচ শুরুর পর মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে। আর চা বিরতির আগে ৬০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫০, হারায় ৩ উইকেট।
ম্যাচের অষ্টম ওভারে দলীয় ৭ রানের সময় আবু জায়েদ রাহির বলে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার কেভিন কাসুজা (২)। তারপর আরেক ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরের সাথে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক এরভিন। তাদের জুটি থেকে আসে ১১১ রান।
প্রথম দিন জিম্বাবুয়ের পক্ষে চমৎকার এক শতক হাঁকিয়েছেন সফরকারী দলের অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। তিনি ২২৭ বলে ১৩ চারের সাহায্যে খেলেন ১০৭ রানের এক দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। মাসভাউর ১৫২ বল মোকাবিলা করে তুলে নেন ৬৪ রান। তার ইনিংসে ছিল নয়টি চারের মার। সেই সাথে সিকান্দার রাজা ১৮ ও ব্রেন্ডন টেইলর ১০ রান করেন।
স্বাগতিকদের হয়ে নাঈম হাসান ৭০ রানে চারটি এবং আবু জায়েদ রাহি ৭১ রানে চারটি এবং তাইজুল ৯০ রানের বিনিময়ে নেন দুটি উইকেট।