পরীক্ষামূলক বাজেট চুক্তির আওতায় নিউইয়র্ক সিটিতে আগামী বছর ঘণ্টাপ্রতি ন্যূনতম মজুরি ১৫ ডলার থেকে ১৬ ডলার এবং ২০২৬ সালে ১৭ ডলার হবে বলে গভর্নর ক্যাথি হোকুল জানিয়েছেন।
তিনি ক্যাপিটলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিউইয়র্কাররা হিমশিম খাচ্ছে। তারা যাতে তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে পারে, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারে, তাদের সন্তানদের জন্য খাবার ক্রয় করতে পারে, সেজন্য আমরা বেতন বাড়াতে চাচ্ছি।’
প্রস্তাব অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড ও ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ন্যূনতম বেতন এক ডলার করে বাড়বে। আর ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বাড়বে ৫০ সেন্ট করে।
গভর্নর হোকুল ১ ফেব্রুয়ারি তার খসড়া বাজেটে যতটুকু প্রস্তাব করেছিলেন, এই বৃদ্ধি তার চেয়ে বেশি। সিনা কলেজের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭০ ভাগ ভোটার এই বৃদ্ধিকে সমর্থন করেছে। এমনকি রিপাবলিকানরা পর্যন্ত একে সমর্থন করেছে।
তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির ধকল এখনো কাটানো সম্ভব হয়নি। এখন এই বেতন বৃদ্ধি ব্যবসায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তবে বেতন বাড়ানোর ফলে শ্রমিক ছাঁটাই এবং তাদের বদলে রোবট নিয়োগের পথ সুগম করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কুইন্স চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট টম গ্রেচ।
তিনি জানিয়েছেন, মজুরি বৃদ্ধি হজম করা কঠিন। কারণ ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মজুরি বৃদ্ধিতে কুলুতে না পেরে অটোমেশনের দিকে যাবে।
এদিকে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের ফুড ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মাইক ডুরান্ট জানিয়েছেন, মজুরি বাড়ার ফলে খুচরা দোকানগুলো সেল্ফ-চেক-আউটের রাস্তায় হাঁটবে। ফলে এই খাতে চাকরি কমে যাবে।