নিউইয়র্ক সিটির ডিস্ট্রিক্ট ২৫ এর কাউন্সিলম্যান শেখর কৃ্ষ্ণানের আগামী নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শুরু হলো ৩০ এপ্রিল। কাউন্সিলম্যানের পূনঃনির্বাচনী ভোটগ্রহণ আগামী ২৭ জুন। আগাম ভোটগ্রহণ (আর্লি ভোটিং) চলবে ১৭ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত।
৩০ এপ্রিল রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় কুইন্স এর ৩৪ এভিনিউ এর ৭৯ স্ট্রিট ও ৮০ স্ট্রিটের চৌমোহনায় “ফাইট ফর আওয়ার ফিউচার (আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়ছি) শীর্ষক লিফলেট বিতরনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড ডিস্ট্রিক্ট ৪ এর সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জনসেবক ও বাংলাদেশি সমাজে হোম কেয়ার সেবার পথিকৃৎ আবুজাফর মাহমুদ। তিনি বলেছেন, প্রিয় জনপ্রতিনিধি শেখর কৃষ্ণানের পূনঃনির্বাচনী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাটি আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান আমাদের মানুষ। আমেরিকান সমাজে তিনি আমাদের দক্ষিন এশীয় প্রতিনিধি। বাংলাদেশি আমেরিকানদের অতি আপনজন। তার আসন্ন পূনঃনির্বাচনের ক্যাম্পেইন সূচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটি থেকে তার প্রতি আমাদের আশির্বাদ ও সমর্থন রয়েছে।
সে সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির মিলন রহমান।শেখর কৃষ্ণানের সঙ্গে ছিলেন সিএনএন এর সাবেক রিপোর্টার ও কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড ৩ এর সদস্য ডন সিফ ও কাউন্সিলম্যানের নতুন ক্যাম্পেইন ম্যানেজার জেস মন্টগোমেরি এবং তার চীফ অফ স্টাফ চাক পার্ক। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের কুইন্স ব্যরোর আওতাধীন ডিস্ট্রিক্ট ২৫ এর নির্বাচিত কাউন্সিলনম্যান শেখর কৃষ্ণান।তার নির্বাচনী এলাকা জ্যাকসন হাইটস, এল্মহার্স্ট ও উডসাইট নিয়ে গঠিত।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, লিফলেট বিতরণ দিয়ে যে পূননির্বাচনী প্রচারণার সূত্রপাত তা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ন। বিশেষ করে প্রতিটি বাংলাদেশি আমেরিকানের কাছে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। শেখর কৃষ্ণান হচ্ছেন সেই জনপ্রতিনিধি যিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য সবচেয়ে আন্তরিক। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন অসাধারণ উপহার। জ্যাকসন হাইটস এর ৭৩স্ট্রিটের নামকরণ করেছেন “বাংলাদেশ স্ট্রিট”। নামফলক উন্মোচনের সময় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশিরা তাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তার মুখে তখন ধ্বনিত হচ্ছিল “বাংলাদেশ” “বাংলাদেশ”। সেই ঐতিহাসিক ছবিটিই মূর্ত হয়ে উঠেছে তার ক্যাম্পেইনের প্রথম লিফলেটে।
লিফলেটে আগামীর পূণঃনির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে শেখর যে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, তারমধ্যে রয়েছে, জনস্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও সবার জন্য আরো মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, পার্ক, খোলা প্রাঙ্গন ও খেলার মাঠের জায়গা বাড়ানো ও উন্নয়ন, শিশুসেবা থেকে শুরু করে পাবলিক স্কুল, নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটি ও বয়স্ক সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং নাগরিকদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, আবাসন, নিরাপদ সড়ক এবং তরুণদের বিভিন্ন কর্মসূচির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হবে।
শেখর তার কর্মসাফল্যের যে জায়গাগুলো সামনে এনেছেন তার মধ্যে রয়েছে জ্যাকসন হাইটস এর ৭৩স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরন, এল্মহার্স্ট হাসপাতালে নিউ ইনফেকশাস ডিজিস ক্লিনিক স্থাপন, পাঁচটি পাবলিক স্কুলের সামনে নিরাপদ ক্রীড়া সড়ক স্থাপন, প্রথমবারের মতো ট্রেভার্স পার্কে ‘পাবলিকডগ রান’ স্থাপন, লিটিল থাইল্যান্ড ওয়ে স্থাপন ।
উল্লেখ্য শেখর কৃ্ষ্ণান ধর্মমতের উর্ধে থেকে মানবতা ও ভালাবাসাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।তার ২৫ ডিস্ট্রিক্ট আওতাধীন এলাকার বাংলাদেশি আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ যোগাযোগ রয়েছে। এখানকার মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোর প্রত্যাশা প্রাপ্তি ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলো অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মূল্যায়ণ করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি জ্যাকসন হাইটস ইসলামীক সেন্টার ও মস্ক-এ গিয়ে মুসুল্লিদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গত ১৭ এপ্রিল জ্যাকসনহাইটস এর পিএস ৬৯ এ তার দেয়া ইনক্লুসিভ ইফতার ও ইন্টারফেইথ ডিনার অনুষ্ঠানে ওই মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।