ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেওয়ার মামলায় রাজধানীর বকশিবাজারস্থ বেগম বদরুন্নেছার কলেজের ছাত্রী ইসরাত জাহান রেইলির ২ বছর ৭ মাস কারাবাসের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম জুলফিকার হায়াত আসামির স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামি ইসরাত জাহান রেইলি বেগম বদরুন্নেছার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে জঘন্যতম কটূক্তি করেন। সে বিষয়ে আজ তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
যেহেতু আসামির ছোট একটি সন্তান রয়েছে। আর আসামি স্বেচ্ছায় অপরাধ স্বীকার করায় আদালত তার কারাবাসের মেয়াদ ২ বছর সাত মাসকে কারাদণ্ড ধরে রায় দিয়েছেন, যোগ করেন এই আইনজীবী।
আদালতে এ মামলার শুনানিকালে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর থেকে কারাগারে থাকা ইসরাত জাহান রেইলিকে এদিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলায় এদিন চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামি পক্ষে আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান দীর্ঘদিন হাজতবাস এবং শিশু সন্তান থাকার বিবেচনায় জামিনের আবেদন করেন।
শুনানির সময় বিচারক বলেন, ‘কারাবাস অনেক দিন হয়েছে। যদি আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে তবে আসামি কারাবামের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করতে পারি।’
তখন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান আসামির সঙ্গে এ সংক্রান্তে কথা বলেন। তবে আসামি প্রথমে বলতে চান যে, তিনি এ তথ্য ছাড়াননি। মোবাইলও তার নয়। তিনি এ অপরাধ করেননি। তখন আইনজীবী বুঝিয়ে বলেন যে, পুলিশ চার্জশিট দিয়েছেন, আর এ মামলার বিচার আরও কত বছর পর শেষ হবে বলা যায় না। এরপর সে দোষ স্বীকার করতে রাজি হন।
ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে কটূক্তির পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর র্যাব-৪ এর হাতে গ্রেপ্তার হন ইসরাত জাহান রেইলি (২৩)। ওই ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২২ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়।