দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ‘মীরজাফর’ আখ্যা দিয়ে মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনসহ বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশিদ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।
এছাড়াও নির্বাচনে থাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অংশ নেয়া রাশিদা পারভীন।
নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী বরিশাল জেলা তাতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির।
কামরুল আহসান রুপনকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটির ভোটে অংশ নেয়ায় করা শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রুপনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া তাকে মীরজাফর আখ্যা দেয়া হয়।
এদিকে আরো ১৮ বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদেরও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। তাদের অনেকের জবাব সন্তোষজনক না হওয়া এবং অনেকে জবাব না দেয়ায় তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে মহানগর বিএনপি ১৯ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিলো কেন্দ্র বিএনপির কাছে। সূত্র : ইউএনবি