অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার মাহবুবা রহমান আঁখি।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন।
এর আগে গত ১৪ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েন।
জানা গেছে, প্রসব ব্যথা উঠলে স্ত্রী মাহবুবা রহমান আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী ইয়াকুব আলী। ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হলেও সেই সময়ে ওই চিকিৎসক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। সেই চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়া এবং রোগীর কোনোরকম চেকআপ না করেই ডেলিভারির কাজ শুরু করে দেন কয়েকজন ডাক্তার ও সহকর্মীরা। পরে আঁখি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থার মধ্যে হার্টবিট বন্ধ হয়ে আইসিউতে মারা যায় নবজাতক।
ওই ঘটনায় গত বুধবার ধানমন্ডি থানায় মোট ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়। মামলা হওয়ার পরে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজ।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ও মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ার ঘটনায় তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি। পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটি লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদফতরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না। এছাড়া আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান ভালো না হওয়ায় অপারেশন কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।