গ্রীষ্মের (সামারে) তাপমাত্রা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি কার্যকর হলে নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বরোতেই এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোর জন্য বাড়তি বিলের বোঝা চেপে বসবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ মানুষ এমনিতেই কঠিন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে তারে অবস্থা হবে আরো করুণ। ফলে অনিবার্যভাবেই মাথায় হাত পড়েছে তাদের। কুইন্সের অবসরপ্রাপ্ত পোস্টালকর্মী প্যাট বারবারিনি বলেন, ‘আমাকে এই বিলগুলো পরিশোধ করতে হবে! আর সবকিছুই বাড়ছে তো বাড়ছেনই! গাড়ি ইন্স্যুরেন্স বিল, মুদি দোকানি বিল, এখন ইউটিলি বিল।’
তিনি জানান, ‘সত্যি বলতে কী, আমার স্ত্রী যদি এখনো কাজ না করতেন, তবে আমাকে পুরো গ্রীষ্মে এসি বন্ধ রেখে জানালাগুলো খুলে রাখতে হতো।’
পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে, যদি রাজ্য কন এডিসন আগামী তিন বছরের বিদ্যুৎ বিল ১২ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাবটিতে সম্মতি দেয়।
কুইন্সের আরেক বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁকর্মী, টমাস ক্যাস বলেন, ‘কনএড মনোপলি করছে। আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।’
প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ বিলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎ বিল বাড়বে ৩.৮ ভাগ। অর্থাৎ যারা আগে ৮৩.৫০ ডলার বিল দিতেন, ফেব্রুয়ারিতে দিতে হবে ৮৭ ডলার। আর ২০২৫ সাল নাগাদ তা বেড়ে হবে ৯৪ ডলার। গড় আমেরিকানরা মাসে ৩০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে- এমন হিসাবকে সামনে রেখে এই ধারণা দেওয়া হয়েছে।
তবে কমিশনের মুখপাত্র দাম বাড়ানো হবেই- এমন কিছু বলেননি। জেমস ডেন এ ব্যাপারে এখনো নীরব রয়েছেন।
তিনি বলেন, কন এডিসনের বিল বাড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি বছরের শেষ দিকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
তবে প্রস্তাবিত মূল্য বৃদ্ধি নিউইয়র্কের মানুষের জন্য খুব বেশি হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের পাবলিক ইউটিলিটি ল প্রজেক্টের নির্বাহী পরিচালক লরি উইলক।
এদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বাড়তে চলেছে। এই গত মাসেই ন্যাশনাল গ্রিড ১৭ ভাগ দাম বাড়িয়েছে।