পটুয়াখালীর দশমিনায় মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরানের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী এলাকায় সুতাবাড়িয়া নদীর পূর্ব তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে স্ত্রী ফারহানা মুন্নি ও সাত বছরের মেয়ে ইলমাকে নিয়ে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে নানা শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন ইমরান। ওই দিন বিকেলে স্ত্রী ও মেয়েসহ সুতাবাড়িয়া নদীর তীর এলাকায় ঘুরতে যান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মেয়ে ইলমা ওই নদীতে পড়ে যায়। এ সময়ে সাঁতার না জানা শিশুটির বাবা-মা ইমরান ও মুন্নি মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা স্থানীয়রাও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে শিশু ইলমা ও তার মা মুন্নিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন ইমরান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। ওই ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর ইমরানের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, স্বজন ও স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত ইমরান বরিশাল মহানগরীর পশ্চিম বগুড়া রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত আহসানউল্লাহ জাহাঙ্গীরের ছেলে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।