রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকায় আলভি (৭) ও জান্নাত (১২) নামে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতদের বাবা মোজাম্মেল হোসেন বিপ্লব। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে শিশুদের মা পপিকে। এদিকে, নিহত শিশুদের মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন তাদের বাবা।
গতকাল শনিবার রাতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ওই নারীর স্বামী।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিব রহমান আজ রোববার সকালে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতদের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি ওই শিশুদের মা। তিনি এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে খিলগাঁও থানার মোল্লা ভবন নামে এক বাড়ি থেকে আলভি (৭) ও জান্নাত (১২) নামে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছুরি ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে। দুই শিশু ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ ও প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
শিশুদের হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পপি। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত দুই শিশু জান্নাত ও আলভীকে হত্যার পরিকল্পনা করি। প্রথমে আগুনে পুড়িয়ে ও পরে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করি।’
মা হয়ে কেন এমনভাবে নিজের সন্তানদের হত্যা করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছিলাম না। সংসার চালানো যাচ্ছিল না। স্বামী সংসার খরচ দিত মাত্র ১ হাজার ১০০ টাকা। ওই টাকায় কিছুই করা যাচ্ছিল না।’