অস্ট্রেলিয়া এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরো সেনা সদস্য, আরো বিমান, আরো জাহাজ এবং আরো সমরাস্ত্র দেখতে পাবে। কর্মকর্তাদের ভাষায়, দুই মিত্র দেশ তাদের সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ও শক্তিশালী করতে ‘গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ’ নিয়েছে। আর এ কারণে অস্ট্রেলিয়ায় এই সামরিক সমাবেশ ঘটবে।
দুই দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের কয়েক ঘণ্টার আলোচনার পর শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া এই চুক্তির কথা জানায়।
চুক্তি অনুযায়ী, অষ্ট্রেলিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও সক্ষমতার পর্যায়ক্রমিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে অস্ট্রেলিয়াকে সমন্বিত করতে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ৩৩তম বার্ষিক অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের পরামর্শ সভা শেষে অষ্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেস সংবাদদাতাদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার এই মুহূর্তে আমেরিকার চেয়ে ভালো কোনো বন্ধু নেই।
মার্লেস বলেন, এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটিতে আরো বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যায়ক্রমিক উপস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ, সামুদ্রিক টহল ও নজরদারি বিমানের আরো বেশি সফর এবং যতক্ষণ না অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পারমাণবিক সাবমেরিন অর্জন করছে ততক্ষণ পর্যন্ত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের সফর সংখ্যা বৃদ্ধি।’
মার্লেস আরো বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন শুরু হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনার জন্য একটি ‘বড় পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগগুলো আমাদের দুই দেশের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই অঞ্চলের সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা-কে শক্তিশালী করবে।