ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় তিনটি কারণ শনাক্ত করেছে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আরও একটি তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরও জানান, তদন্তকারী আরও দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রকৃতপক্ষে বাসচালক মোহন খানের খামখেয়ালীপনায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আগমুহূর্তে বাসের চালক তার সিটে বসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে তর্ক করছিল ও মোবাইল চালাচ্ছিলেন বলেও তদন্তে উঠে আসে। বাস মালিক সমিতি ও মালিক পক্ষ আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। পরিবহন চলাচলে নির্দেশনা মেনে চলতে গরিমসির কথা উঠে এসেছে।
২৩ জুলাই সকালে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসটি ছত্রকান্দা এলাকায় আসার পর একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে যায়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে থাকা একটি পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৭ জন যাত্রী নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।