২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা ১ থেকে ২ মাস পেছানো অথবা ৫০ নম্বরে নেওয়ার দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।
শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে জড়ো হয়।
এদিকে, সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে পুলিশ। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক ছেড়ে পাশে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি না মানলে সড়ক ছাড়বেন না বলে জানান। তারা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের পরীক্ষা আগে নিতে চাইছে। কিন্তু এটা সম্ভব না। এতো কম সময়ে আমরা ভালো রেজাল্ট করতে পারব না। তাই হয় ৫০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে, না হয় ২ মাস পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে।’
পরীক্ষার্থীদের দাবি, তুলনামূলক কম সময় পেয়েও পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাদের। ফলে ব্যাপক মানসিক চাপে পড়েছেন তারা। এজন্য সিলেবাস কমানো অথবা পরীক্ষা ১ থেকে ২ মাস পেছানোর দাবি তাদের।
তারা জানান, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রায় আড়াই বছর সময় পায়। আড়াই বছর সময় নিয়ে তাদের পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের। কিন্তু ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীরা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। তুলনামূলক এক বছর কম সময় পাওয়ার পরও তাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া গত বছর আইসিটি সাবজেক্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইসিটি সাবজেক্টও পরীক্ষা দিতে হবে।
এসব বিষয় নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবারের পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বোর্ডের ই-মেইল ও সামাজিকমাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন তারা।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেই আজ এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তাদের দাবিগুলো হলো:
৫০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয়। পরীক্ষা থেকে আইসিটি সাবজেক্টটি বাদ দেওয়া।