মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা আশ্রয়-প্রার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা বঙ্গোপসাগরে ডুবে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
শওয়ে ইয়াং মেট্রো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বায়ার লা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শেষে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর ত্যাগ করার সময় নৌকাটিতে প্রায় ৫৫ জন রোহিঙ্গা ছিলেন।
তিনি বলেন, সপ্তাহের শেশে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ের কাছে সাগরে যে দুর্ঘটনাটি ঘটে তা থেকে আটজন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নৌকাটি মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল এবং নৌকটি ঠিক কয়টার সময় ও কী কারণে ডুবে যায় তা এখনো জানা যায়নি।
বায়ার লা বলেন, সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে বুধবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার (২০৮ মাইল) পশ্চিমে সিটওয়ের উপকূল থেকে ১০ নারীর লাশসহ ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা গেছে।
তিনি জানান, যে আটজন প্রাণে বেঁচে যান তাদেরকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা এবং কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল হ্লা থেইন বলেন, সোমবার থেকে উপকূলে যে লাশ পাওয়া গেছে তার সঠিক সংখ্যা এবং অন্যান্য বিবরণ এখনো জানা যায়নি।
থেইন ফোনে বলেন, ‘আমি শুধু শুনেছি নৌকাটি অবৈধভাবে ছেড়ে যায় এবং পরে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার জবাবে সেনাবাহিনী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযান শুরু করার পর থেকে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে চলে যায়।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানে গণধর্ষণ ও হত্যা করেছে এবং সংখ্যালঘুদের হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক বাহিনীর এই অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা