চলতি সপ্তাহে হাওয়াইয়ান দ্বীপ মাউই-এ একটি মনোরম শহরে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় কমপক্ষে ৯৩ জনের মৃত্যু হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রে গত ১০০ বছরে দাবানলে ভয়াবহতম মৃত্যুর ঘটনা।
এর আগে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ারে ৮৫ জন নিহত হয় এবং প্যারাডাইস শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এক শতাব্দী আগে, ১৯১৮ সালের ক্লোকেট শহরের আগুন খরাপীড়িত উত্তর মিনেসোটায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে শত শত লোক মারা যায়।
মাউইতে কমপক্ষে আরো দুটি দাবানল জ্বলছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লাহাইনার উত্তরে পশ্চিম মাউই-এর উপকূলীয় এলাকা কানাপালিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুনের চতুর্থ দফা শুরু হয়। তবে কর্মীরা এটি নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
বৃহস্পতিবার রাতে ডাউন টাউনে ফেরত আসায় প্রানে বেঁচে যান ওয়াইল্যান্ড নামক এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এটি এমন কিছু যা আপনি টোয়াইলাইট জোন, হরর মুভি বা অন্য কিছুতে দেখতে পাবেন। পুড়ে যাওয়া সব গাড়ি দেখে খুব খারাপ লাগছিল।’ সেখানে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ৩০ জন শিল্পীর কাজসহ তার গ্যালারি ধ্বংস হয়ে যায়।
সেখানে জরুরি ব্যবস্থাপকরা নিজেদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের রাখার জায়গা খুঁজছেন। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি এবং প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে কাউন্টি কর্মকর্তারা শনিবার সকালে ফেসবুকে জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন।
সিভিল এয়ার প্যাট্রোলের হিযাব অনুযায়ী ১,৬৯২টি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা যায়, এর প্রায় সবগুলিই আবাসিক। লাহাইনা হারবারে নয়টি নৌকা ডুবে গেছে।
কয়েক দশকের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই দাবানল। শুষ্ক গ্রীষ্ম এবং হারিকেন থেকে তীব্র বাতাসের কারণে মাউই-এর দাবানল দ্বীপটিকে ঢেকে রাখা শুকনো ঝোপঝাড়ে মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে