বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা করোনা ভাইরাস। এটি প্রথম চিহ্নিত হয় চিনের উহান সিটির হুবেই প্রদেশে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে উহান সিটিতে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা পরে করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ নামে পরিচিতি পায়।
বর্তমানে চীনে রোগটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ইতোমধ্যে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৫৫টি দেশ এবং সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা চীনেই। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। ইতালি থেকে আসা ২ প্রবাসীর কারণে তার পরিবারের আরেকজন আক্রান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী চিহ্নিত হয়। কোয়ারেনটাইনে রয়েছে বেশ কিছু মানুষ। রোগের লক্ষণ হলো- শ্বাসনালী সংক্রমণ, জ্বর, কাশি, শাসকষ্ট, মাংসপেশির জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি। নিউমোনিয়া মারাত্মক হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়, বুকব্যথা করে এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এ সময় রোগীকে ভেন্টিলেটরে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়।
রোগ প্রতিরোধের জন্য জনাকীর্ণ স্থানে না যাওয়া, গণপরিবহন বর্জন করা, বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে হবে। যেহেতু রোগটি শ্বাস- প্রশ্বাসের সাহায্যে ছড়ায়, তাই জনাকীর্ণ স্থানে ফেস মাস্ক ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পর, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হাত না ধুয়ে নাকে বা মুখে হাত দেওয়া যাবে না। হাঁচি-কাশি এলে মুখে টিস্যু পেপার, রুমাল বা জামার আস্তিনে মুখ ঢেকে কাশি দিতে হবে। করোনা আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগ থেকে দূরে থাকতে প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যের সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।