অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিত্রনায়িকা জেবা চৌধুরী ওরফে ফরিদা পারভীনের তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জেবা জান্নাত বলেন, ‘আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে হুট করে দেখলাম, আমাকে নিয়ে নিউজ। আমাকে সবাই পাঠাচ্ছে ম্যাসেঞ্জারে, দেখ কী কী মিথ্যা। আর যারা আমার ফ্রেন্ড তারা বলছে যে, তোমার ছবিটা তারা ইউজ করছে, তা আমি তখনও বুঝি নাই। পরে ঢুকে দেখলাম যে, আমাকে নিয়ে নিউজ হচ্ছে। পরে দেখলাম ফেরিফায়েড পেজ থেকে আমাকে নিয়ে নিউজ। দেখি, নামটা হচ্ছে ফরিদা পারভীন ওরফে জেবা চৌধুরী। তা আমার নামতো জেবা জান্নাত, তখন আমি শিওর হলাম যে, অন্য কারও ছবি দিতে গিয়ে আমার ছবি দিয়ে দিয়েছে।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘নিউজ চ্যানেল থেকে যখন একটা নিউজ করবে, তাদের তো অবশ্যই সবকিছু দেখে, সবকিছু জেনে, যাচাই করে তারপর সেটা তুলে ধরা উচিত। তাড়াহুড়ো করে নিউজ করতে গিয়ে আমার ছবিটা ভেসে আসছে, আমার ছবিটা সুন্দর করে আপলোড দিয়ে দিয়েছে, তা এগুলো কি ক্রাইম না? ছবি নিয়ে ফেক নিউজ করছে। কিছু দিন আগে একটা নিউজ হলো, এখনো নিউজ হচ্ছে। আমার ছবি কি তাদের এতই পছন্দ যে, আপলোড দেওয়ার জন্য আমার ছবিটাই পায়।’
সংবাদমাধ্যমে ভুল ছবি ব্যবহারের বিষয়ে জেবা জান্নাত আরও বলেন, ‘আমার ছবি ইউজ করেছে ভুল করে। ওরা আমাকে পরে ফোন দিয়ে বলছে, “আপু, আমরা সরি। আমার ছবিটা ঠিক করে নিচ্ছি।” তখন যারা নিউজ করে, যারা দেখার তারা দেখে নিয়েছে অলরেডি।’