নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি যুবদল নেতা আব্দুল লতিফ মিন্টুকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।এ ঘটনায় মো. রাসেল ওরফে শিশু রাসেল নামের এক স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল লতিফ মিন্টু উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মুহাবুল্লাপুর গ্রামের খান বাড়ির মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা রাসেলের নেতৃত্বে মিন্টুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত যুবদল নেতা মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আটককৃত মো. রাসেল ওরফে শিশু রাসেল (২৭) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের মো. দেলোয়ারের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
জানা যায়, গোপালপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৭ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. হাসিবুল বাশার হাসিবকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন নিহত যুবদল কর্মী মিন্টু। কিছুদিন আগে নতুন করে যুবলীগ নেতা শিশু রাসেলের সঙ্গে বিরোধ হয় নিহত মিন্টুর। পূর্ব শক্রতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন মিন্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উপজেলার কোটরামহব্বতপুর গ্রামে ফেলে যায়।
পরে স্থানীয় চৌকিদার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, পুলিশ এলাকাবাসীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে আটক করেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার থাকায় কেউ মুখ খোলে না। যার নাম পেয়েছি, সে স্বশরীরে ছিল। তাই তাকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মিন্টু ছাত্রলীগ নেতা হাসিব হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত ৫ নম্বর আসামি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।