উত্তর কোরিয়া তাদের ভূখণ্ড থেকে জাপান সাগর লক্ষ্য করে দুটি প্রজেক্টাইল ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। প্রজেক্টাইলগুলো সম্ভবত স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানিয়েছে তারা। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকালে উত্তর কোরিয়া পিয়ংইয়ং থেকে এগুলো ছুড়েছে বলে দক্ষিণের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতেও একটি মহড়ার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সে সময় পিয়ংইয়ংকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছিল।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানায়, উত্তরের প্রজেক্টাইল নিক্ষেপের পর, পিয়ংইয়ং এ ধরনের আরো কিছু ছোড়ে কি না, তার ওপর নজর রাখেছে তারা। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনাকে ‘একেবারেই অনুপযুক্ত’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে সিউল।
দুটি প্রজেক্টাইলই ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছিল, পাড়ি দিয়েছিল প্রায় ৪১০ কিলোমিটার পথ, জানিয়েছে দক্ষিণের সেনাবাহিনী। জাপানের কোস্টগার্ড পরে সমুদ্রে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের নৌসীমায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। এ দিকে উত্তর কোরিয়া আগামী ১০ এপ্রিল তাদের পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির অধিবেশন ডেকেছে। ওই অধিবেশনে প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে দেশটি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় নিজেদের সফলতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে যাচ্ছে বলেও অনুমান বিশ্লেষকদের। ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর মিললেও চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর কোরিয়ায় কেউ শনাক্ত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পিয়ংইয়ং ‘করোনাভাইরাসে’ আক্রান্তের তথ্য গোপন করছে।
উত্তর কোরিয়া ফেব্রুয়ারির শুরুতেই পিয়ংইয়ংয়ে থাকা কূটনৈতিক ও দূতাবাস কর্মীসহ প্রায় ৩৮০ জন বিদেশীকে তাদের কম্পাউন্ডের ভেতর ৩০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। মার্চের শুরুতে ওই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ কূটনীতিক ও বিদেশী নাগরিকসহ প্রায় ৮০ জন পিয়ংইয়ং ছেড়েছিলেন। সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি