চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ থেকে ২০ জন মারা গেছেন, এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইফতেখার মো. আদনান এক চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক আদনান চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শনিবার নগরীর প্রবর্তক এলাকা থেকে আদনানকে আটক করা হয়েছে। মো. আদনান ওআর নিজাম রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত এবং একটি শিল্পগোষ্ঠীর মেডিকেল অফিসার পদেও আছেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকদিন আগে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি অডিও রেকর্ড ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর বিষয়ে গুজব প্রচার করা হয়। ওই কণ্ঠটি ডা. ইফতেখার মো. আদনানের।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ইউএসটিসির শিক্ষার্থী থাকাকালে আদনান ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। বর্তমানে তিনি মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই বক্তব্য নিজের বলে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া আটক ইফতেখার আদনান মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেন নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী।
পাঁচলাইশ থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও রেকর্ডে ‘রোহান’ নামের একজনকে সম্বোধন করে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আছে এবং এতে মৃত্যু হয়েছে ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করে এক ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায়। তবে যাকে ফোন করা হয়েছে সেই রোহান নামের ব্যক্তি নিরব ছিলেন। এতে বোঝা যায় যে, ওই ফোন কলটি ভুয়া ছিল। পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এটি করা হয়েছে। ইউএনবি।