শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতী জাঙ্গালিয়া এলাকায় ট্রাক-হিউম্যান হলার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫। নিহতদের মধ্যে দুই সহোদরও রয়েছেন। এই ঘটনায় পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি দাবি উঠছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহসড়ক চার লেনে উন্নীত করার।
গত রাতে নিহতদের বেশ কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। রোববার সকালে লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার দুলাল বাড়ৈ নয়া দিগন্তকে বলেন, চুনতী জাঙ্গালিয়ার টেকের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে ১৩ জন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আরো দু’জন সর্বমোট ১৫ জন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন আজিজনগর এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে সাংবাদিক কাইছার হামিদের দুই ভাই জসিম উদ্দিন (২২) ও তাওরাত হোসেন বেলাল (১৮), লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের লোহাগাড়া দিঘীর পাড় এলাকার জাফর ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ জহির (২৩), বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার মৃত কালু মিয়া সিকদারের ছেলে ও আজিজনগর কৃষি ব্যাংকের কর্মচারি মোহাম্মদ বাদশা মিয়া (৩০), আজিজনগর এলাকার মোহাম্মদ এনাম, ভিলেইজার পাড়া এলাকার লালু ফকির (৫৮), ইসলাম ট্রেডিং এলাকার মোস্তাফিজ খলিফার ছেলে জসিম উদ্দিন, লেদু ফকির, আনোয়ার হোসেন ও চুনতী মীরখীল এলাকার সিরাজ মিস্ত্রিসহ (৩৮) আরো কয়েকজন।
এদিকে আজ সকাল ১১টায় আজিজনগর এলাকায় নিজ গ্রামে দুই সহোদর জসিম উদ্দিন ও তাওরাত হোসেন বেলালের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।