সুনামির বেগে এগিয়ে চলছে করোনা। কোনোভাবেই যেন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না এই মহামারি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৯ হাজার তিনজন।
করোনায় আক্রান্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার ইতালিতে ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ইউরোপের দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৬ জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯ হাজার ১৩৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ৭ হাজার ২৪ জন সুস্থ হয়ে ফিরলেও ৪৬ হাজার ৬৩৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩ হাজার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৪৬ শতাংশ। আর সুস্থ হওয়ার হার ৫৬ শতাংশ।
চীনে আরো ৯ জন মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২৭০ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে মোট ৭২ হাজার ৭০৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
স্পেনে একদিনে মারা গেছে ৪০০ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ৩৪ হাজার ৭১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৭৮ জন।
ইরানে এক হাজার ৬৮৫ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২১ হাজার ৬৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৯১৩ জন।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৪ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৬ হাজার ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২০০ জন।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১১১, সুইজারল্যান্ড ৯৮, যুক্তরাজ্য ২৮১, নেদারল্যান্ড ১৭৯, অস্ট্রিয়া ১৬, নরওয়ে ৭, সুইডেন ২১, বেলজিয়াম ৭৫, ডেনমার্ক ১৩, কানাডা ২০, মালয়েশিয়া ১০, পর্তুগাল ১৪, জাপান ৪১, ব্রাজিল ২৫, ইরাক ২০, পাকিস্তান ৫, ভারত ৭ ও বাংলাদেশে দুইজন মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের মধ্য থেকে তিন দশমিক চার শতাংশ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমান করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা ও ওয়াল্ডোমিটার