ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো দুই বাংলাদেশী রয়েল লন্ডন হাসপাতালে মারা গেছেন। সোমবার স্থানীয় সময় সকালে হাজী জমসেদ আলী (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ইন্তেকাল করেন। একই হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল দশটায় পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল মার্কেটের শাকসবজি ব্যবসায়ী খসরু মিয়া (৪৯) ইন্তেকাল করেন। ইস্ট লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকার সেটেলস স্ট্রিট এলাকায় বাস করতেন হাজী জমসেদ আলী। বাংলাদেশে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার বাবার নাম ডাঃ কামরুল ইসলাম। আর খসরু মিয়ার বাড়ি সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলার শাহার পাড়া গ্রামে। দীর্ঘদিন যাবত তিনি হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন ।
এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে সফররত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০) মারা যান। লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী। তিনি পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে ইতালি থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন ব্রিটেনে। দ্বিতীয় বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করেছেন লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে হাসপাতালে আটদিন যুদ্ধ করার পূর্ব লন্ডনের রয়েল লন্ডন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৬৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। এ পর্যন্ত পাচঁজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী মারা গেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ।
এদিকে এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার আরো ৮৭ জন মারা গেছেন। ব্রিটেনে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এবং আক্রান্তের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে এদিন। এ নিয়ে সেখানে মারা গেলেন মোট ৪২২ জন, এদের মধ্যে ২৭ জন লন্ডনের। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা পর্যন্ত নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪০০ মানুষ। করোনা ভাইরাস আছে কিনা এমন পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৯০ হাজার ৪৩৬ জনের। মঙ্গলবার নতুন করে যাদের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে তাদের বয়স ১৮ থেকে ১০৩ বছরের মধ্যে।
ওদিকে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়তে বাকি আছে দুই থেকে তিন সপ্তাহ।