বগুড়ার শিবগঞ্জে পূজামণ্ডপে দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরে নিজ শয়ন ঘরে খুন হয়েছেন আশা রানী মোহন্ত (২৮) নামের এক আনসার-ভিডিপি সদস্য।
সোমবার দিবাগত রাতে তিনি খুন হন বলে নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ।
আশা রানী শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল মহল্লার মুদি দোকানদার ভোজন কুমার মোহন্তের স্ত্রী।
আশা রানীর শাশুড়ি সুপ্রীতি রানী মোহন্ত জানান, তার ছেলের বউ আশা বানাইল উত্তরপাড়া সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে পূজামণ্ডপ থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেন। এ সময় তিনি (সুপ্রীতি রানী) মণ্ডপে ছিলেন এবং ছেলে নিজের মুদি দোকানে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে বাড়িতে গিয়ে সোফার ওপরে আশা রানীকে পড়ে থাকতে দেখেন সুপ্রীতি রানী। খবর পেয়ে ছেলে ভোজন এসে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, লাশের মুখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি জিন্সের প্যান্ট ও কামিজ পরা ছিলেন। কানের একটি দুল সোফার নিচে পড়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাড়িতে আশা রানী একা থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে।