সেমিফাইনালে উঠার সম্ভাবনা সঙ্কুচিত হয়েছে আগেই। তবুও সমীকরণের মারপ্যাঁচে খানিকটা সুযোগ এখনো আছে। যা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। অবশ্য শেষ সুযোগের শুরুতে সহজ প্রতিপক্ষই পাচ্ছে টাইগাররা। আজ শনিবার নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু বেলা আড়াইটায়।
প্রথম ম্যাচে জয় আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে টানা চার হারে দল এখন খাদের কিনারে। জয় ছাড়া যেখানে আর বিকল্প নাই। পা ফসকালেই বিপদ, প্রতিটি ম্যাচই যেন ডু অর ডাই! এখন আর হারানোর ভয় নেই, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সর্বোচ্চটা দিয়েই।
ডাচদের বিপক্ষে এই ম্যাচ গড়াবে ক্রিকেট দুনিয়ায় বিখ্যাত স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনে। ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য সাক্ষী ক্রিকেট ইতিহাসের নানা গল্পের। অসংখ্য রোমাঞ্চকর গল্প আছে এই মাঠের, লেখা হয়েছে অনেক রূপকথা। বাংলাদেশও মাঠে নামবে রূপকথা গড়ার লক্ষ্যেই।
অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই ভারত এসেছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন এখন অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাহিরে। তবুও নতুন করে উজ্জীবিত হবার একটা বেশ ভালো সুযোগ পেয়েছেন সাকিবরা, হয়তো পারবেন চমকে দিতে! তবুও ভয়ের যথেষ্ট কারণ আছে। এই নেদারল্যান্ডসই তো এবারের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়ে দিয়েছে!
অবশ্য কলকাতায় যখন খেলা, অনেকাংশেই ঘরের মাঠের ফিল পাবে বাংলাদেশ। এপার বাংলা আর ওপার বাংলাতেষের বাধা কেবল সীমানার কাঁটাতার। বাঙালি বলেই হয়তো মাঠে মিলতে পারে বাড়তি সমর্থন, আইপিএলে ঘরের ছেলে সাকিব-লিটনকে জানাতে পারেন সাদর সম্ভাষণ।
প্রতিপক্ষ হিসেবেও নেদারল্যান্ডস খানিকটা স্বস্তি দিতে পারে বাংলাদেশকে। দুই দলের ওয়ানডেতে শেষ দেখা হয়েছিল এক যুগ আগে, ২০১১ বিশ্বকাপে। চট্টগ্রামে যেই ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছল টাইগাররা। ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইমরুল কায়েস হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
এর আগে ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ৬ উইকেটে হেরে যায় মাশরাফির দিল। সেই ম্যাচেও ফিফটি করেন ইমরুল কায়েস।
এবার হয়তো ইমরুল নেই, তবে সেই দুই ম্যাচে খেলেছেন, এমন তিনজন এখনো আছেন বাংলাদেশ দলে। হ্যাঁ, সাকিব, মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ। লিটন-শান্তরা কি পারবেন ইমরুলের অভাব পূরণ করতে?
সেই প্রশ্নের উত্তর ম্যাচ শেষে পাওয়া যাবে। আপাতত একটা স্বস্তির খবর আছে। চোটের কারণে গত দুই ম্যাচে না খেলা তাসকিন ফিরছেন এই ম্যাচ দিয়েই। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ একাদশে থাকবেন তিনি। ফলে একাদশে পরিবর্তন আসা অনেকটাই নিশ্চিত।