পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিয়েছে। এরপর এতে আমাদের ট্যাক্স যুক্ত হয়। এ কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে পৌঁছলে এর দাম ১১০-১১৫ টাকা হয়ে যায়। আবার দেশি পেঁয়াজের মজুতও প্রায় শেষের দিকে। এ কারণে নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত সবাইকে আরও একমাস একটু কষ্ট করতে হবে।
ডিম আমদানির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ১৫ কোটি ডিম আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কিছু টেকনিক্যাল কারণে সময় লাগছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে ডিম আমদানি করা হবে।
এ সময় তিনি পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের মজুরি কাঠামোও যাচাই করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে তা কার্যকর করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারই কেবল পোশাকশ্রমিকদের কথা ভাবে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সদিচ্ছা রয়েছে। এর আগে শ্রমিকদের এক হাজার ৬০০ টাকার বেতন তিনি আট হাজারে নিয়ে গেছেন। এবারও তাদের বেতন সম্মানজনকভাবেই বাড়ানো হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পোষাক কারখানায় যারা বিশৃঙ্খলা করছেন, তারা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যেই এমনটি করছেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এরপর যে কারখানায় এমন বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা হবে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। তাই নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত ভোক্তাদের আরও একমাস একটু কষ্ট করতে হবে। গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) রংপুরে অপু মুনশি ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।