করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশে অন্যান্য দোকানপাটের মতো সেলুনও বন্ধ রয়েছে। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে চৈত্র মাসের ভ্যাপসা গরম। এ সময় মাথার চুল লম্বা হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন অনেকেই। তাই যশোর অঞ্চলে অনেকটা গণহারে মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া হওয়ার ধুম পড়েছে!
যশোরের বারান্দীপাড়া এলাকার আইটি উদ্যোক্তা রেজানুর রব সিদ্দিকী রেজা নিজেই তার স্ত্রীকে দিয়ে মাথা টাক করিয়েছেন।
তিনি জানান, করোনার কারণে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তবে প্রয়োজনে দু’একদিন বের হলেও খোঁজার চেষ্টা করেন কোনো সেলুন খোলা আছে কি না। কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় সেলুন খোলেননি মালিকরা।
শুধু রেজা নন, শহরের রাজু, শফিসহ অনেকেই অনেকটা নিরুপায় হয়ে মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া করে ফেলছেন বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোলে ডায়মন্ড সেলুনের মালিক ইমাদ হোসেন জানান, অনেকেই তাদের কাছে ফোন দিয়েছেন বাড়িতে গিয়ে চুল কাটিয়ে দেয়ার জন্যে। কেউ কেউ সাড়া দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না।
যশোর রেলস্টেশনের বিসমিল্লাহ সেলুনের মালিক দয়াল নিত্য জানান, তার পরিচিত একজনের ফোন পেয়ে বাসায় গিয়ে কাজ করেছেন এসেছেন তিনি।
যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা বাজার সেলুন মালিক সমিতির সভাপতি দিনু সরকার বলেন, করোনা ইস্যুতে সরকারের নির্দেশে তাদের দোকান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে তাদের সংসার চালাতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে কিছু করার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আগে করোনা থেকে বাঁচতে হবে, তারপর অন্য কাজ।
তিনি বলেন, অনেকেই চুল কাটতে বাড়ি যেতে ফোন দিচ্ছেন তার কাছে। কিন্তু তিনি নিজের ও তার পরিবারের কথা চিন্তা করে কারও বাড়িতে চুল কাটতে যাচ্ছেন না।
শহরের বারান্দিপাড়া এলাকার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, তিনি বেশ কিছু দিন ধরে চুল কাটার জন্যে বাজারে ঘোরাঘুরি করেছেন। কিন্তু সেলুন খোলা না থাকায় বাড়িতে বসেই মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া হয়েছেন।
সূত্র : ইউএনবি