সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

অধিনায়ক কোহলি, গ্রুপপর্ব শেষে ‘বিশ্বকাপের সেরা একাদশে’ যারা

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৮২ বার

চলমান বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব শেষ। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ভারতেই একমাত্র দল যারা কোনো ম্যাচেই হারেনি। এই দলের খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিয়ে গ্রুপপর্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি একাদশ গঠন করেছে ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’। তবে এই একাদশের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, বিরাট কোহলিকে। অথচ ভারতের এই ব্যাটারের দলের অধিনায়কই অন্যজন, রোহিত শর্মা।

বিশ্বকাপের সেরা একাদশ

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা): গ্রুপপর্বের ৯ ম্যাচে ৫৯১ রান করেছেন কুইন্টন ডি কক। ৬৫.৬৭ গড় ও ১০৯.২ স্ট্রাইকরেটে এই রান করেছেন তিনি। এরই মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এই উইকেটকিপার ব্যাটারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৭৪।

ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া): ৯ ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৪৯৯ রান। ৫৫.৪৪ গড় ও ১০৫.৫ স্ট্রাইকরেটে এই রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। সমান ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি আছে তার।

রাচীন রাবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড): এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় বিস্ময় রাচীন রাবীন্দ্র। ৯ ম্যাচে ৭০.৬৩ গড়ে ৫৬৫ রান তুলেছেন এই অলরাউন্ডার। ৩টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ২টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। ইকোনমি ছয়ের নিচে রেখে ৫টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।

বিরাট কোহলি (ভারত): ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’র বাছাই করা এই একাদশের অধিনায়ক কয়েকবছর আগেই দায়িত্ব ছাড়া কোহলি। ৯ ম্যাচে ৫৯৪ রান নিয়ে তিনিই বর্তমানে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার এই রান এসেছে ৯৯ গড় ও ৮৮.৫০ স্ট্রাইকরেটে। ২টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি আছে এই তারকার।

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা): দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে পৌঁছানোয় বড় অবদান সহ অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। গ্রুপপর্বে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই গড় ও ১১৪.৫০ স্ট্রাইকরেটে ৩৯৬ রান করেছেন মার্করাম। ১টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তারা ব্যাটে।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়): এই বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যা করেছেন তাতে তাকে একাদশে না রেখে উপায় নেই। ৭ ম্যাচে ৩৯৭ রান হয়তো খুব বেশি মনে হয় না কিন্তু স্ট্রাইকরেটটা যে মারাত্মক ঈর্ষণীয়, ১৫২.৭। ২টি সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাটে, যার মধ্যে একটি আবার অবিশ্বাস্য সেই ডাবল সেঞ্চুরি। বল হাতে ইকোনমি পাঁচের কম রেখে ৫টি উইকেটও তুলে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

মার্কো জেনসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা): দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্যে মার্কো জেনসেন রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৮ ম্যাচে স্ট্রাইকরেট একশর ওপরে রেখে করেছেন ১৫৭ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট।

রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত): ৯ ম্যাচে ১১ রান করা জাদেজার স্ট্রাইকরেটও শতরানের ওপরে। বল হাতে দুরন্ত ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৯৬ হারে রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট।

মোহাম্মদ শামি (ভারত): গ্রুপপর্বের শেষের দিকে সুযোগ পেয়েছেন শামি। মাত্র ৫ ম্যাচেই তিনি নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ওভারপ্রতি মাত্র ৪.৭৮ হারে রান দেওয়া এই পেসার ৫ উইকেট নিয়েছেন ২ বার।

অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়): ৯ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে গ্রুপপর্ব শেষে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারী জাম্পা। ওভারপ্রতি রানও দিয়েছেন মাত্র ৫.২৭ হারে। অস্ট্রেলিয়ার টানা ৭ জয়ে তার অবদানই সবেচেয়ে বেশি।

জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত): ১৭ উইকেট শিকার করে পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ উইকেটশিকারীদের তালিকায় ওপরের দিকেই আছেন। কিন্তু তার সবচেয়ে ঈর্ষণীয় দিক হচ্ছে তার বোলিং ইকোনমি। ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৬৫ হারে রান দিয়েছেন তিনি।

দিলশান মধুশঙ্কা (শ্রীলংকা): এই দলের ১২তম ক্রিকেটার হিসেবে রাখা হয়েছে লংকান পেসার মধুশঙ্কাকে। ৯ ম্যাচে ২১ উইকেট শিকার করেছেন এই তারকা। লংকানরা সেরা আটে থাকতে না পারলেও আপন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন মধুশঙ্কা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com