শরীয়াতপুর সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য করা আইসোলেশনে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন। মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর।
আইসোলেসনে থাকা ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এমন সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান বলেন, আসলে ব্যাপারটা গুজব। গত ১৯ মার্চ থেকে সে সদর হাসপাতালে একজন টিবি রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে আমরা তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করি। তার বিদেশিদের সংস্পর্শে আসার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আমরা আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করেছি।
তারা বুধবার এ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন বলেও জানান তিনি।
‘আমরা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য তিনজন চিকিৎসক ও তিনজন নার্স আলাদাভাবে প্রস্তুত রেখেছি। রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা দেখভাল করছি,’ যোগ করেন তিনি।
রোগীর করোনাভাইরাস না হলে তাকে কেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীর যে দুটি পরীক্ষা করি, তার একটিতে টিবি রোগ এবং অন্যটিতে লিভারে পানি জমে গিয়েছিল সেটি ধরা পড়ে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ভুগতে থাকা রোগীটি নড়িয়া থেকে এসেছেন যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী থাকেন, তাই সবকিছু ভেবে তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাত ৯টার দিকে ওই রোগী মারা যান।’ সূত্র : ইউএনবি