মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের যেসব নিয়ামত দান করে জীবনকে ধন্য করেছেন তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হলো ঈমান। ঈমানের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারে। মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে শ্রদ্ধা, সম্মান, কল্যাণ ও সাফল্য লাভ করেন। সবাই তাকে ভালোবাসে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আর সম্মান তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের জন্যই।’ (সূরা আল মুনাফিকুন-৮)
ঈমান মু’মিনের জীবনে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। মু’মিন ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রিয়পাত্র। আল্লাহ তায়ালা মু’মিনদের ভালোবাসেন। আখিরাতে তিনি মু’মিনদের চিরশান্তির জান্নাত দান করবেন। মু’মিনরা সেখানে চিরকাল থাকবেন। জান্নাতের সব নিয়ামত ভোগ করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে ফিরদাউস জান্নাত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।’ (সূরা আল কাহফ : ১০৭-১০৮)
আল্লাহ তায়ালা কুরআনের অন্যত্র বলেন- ‘যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারা হবে ওই জান্নাতের অধিবাসী, যার নিচ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরদিন বসবাস করবে। এটিই হলো বড় পুরস্কার।’ (সূরা বুরুজ-১১) আমাদের প্রিয় নবী সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
ঈমানের দৌলত প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ওপর মহা অনুগ্রহ করেছেন। চিরকালীন জাহান্নাম থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কেননা, বেঈমান কাফিররা অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। তারা চিরকাল দোজখের শাস্তি ভোগ করবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘যারা (কাফের) অবিশ্বাস করে ও আমার নিদর্শনকে মিথ্যাজ্ঞান করে, তারাই অগ্নিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।’ (সূরা আল বাকারাহ-৩৯) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বলেন- ‘যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের হয়েছে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তাওবাহ কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। পক্ষান্তরে তাদের কোনোই সাহায্যকারী নেই।’ (সূরা আলে ইমরান-৯১)
একজন মু’মিনের কাছে শ্রেষ্ঠ অর্জন ও শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো ঈমান। তাই প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানের প্রধান দায়িত্ব হলো ঈমানের প্রতি যতœবান হওয়া।
লেখক :
সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।