ভারতে লকডাউনের মধ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৬৫ জনে। বুধবার রাত পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৩৪ জন। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এখন ১৯৬৫ জন। অর্থাৎ গত এই সময়ের মধ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১৩১ জন। এ দিন নতুন করে আরো ৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত গোটা ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। তবে আশার কথা এর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫১ জন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযের হিসেব অনুযায়ী দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, ৩৩৫ জন। সেখানে মৃত্যুও হয়েছে ১৩ জনের। এর পরেই রয়েছে কেরালা রাজ্য। এরপরে যথাক্রমে রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যও। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩৭। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ জন।
নতুন আক্রান্তদের একটা বড় অংশ দিল্লিতে নিজামউদ্দিনের জামাতে অংশ নেয়া মানুষজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিজামউদ্দিনের জামাতে যোগ দেয়া লোকজন সারা ভারতের ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ফলে সেই বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই জামাতে যোগ দেয়া এবং তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, নিজামউদ্দিনে যোগ দেয়া এবং তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলেই এ ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
অন্যদিকে ভারতে মৃতের সংখ্যার নিরিখেও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাটে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও তেলঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তবে তেলঙ্গানায় দিল্লির নিজামউদ্দিন ফেরত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেই খবর রাজ্য সরকার চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে পৌঁছেছে ৩৭ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তবে এর মধ্যে বুধবার সকালে বেলঘরিয়ার আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু অন্তর্ভূ্ক্ত করা হয়নি। এ রাজ্যেও নিজামউদ্দিন ফেরতদের শনাক্ত করে হোম আইসোলেশন বা কোয়রান্টাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সূত্র : আনন্দবাজার