বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার বলা হয় মুশফিকুর রহিমকে। দীর্ঘ দেড় যুগ যাবত প্রতিনিধিত্ব করছেন লাল-সবুজের ক্রিকেটকে। অধিনায়কত্ব করেছেন বহু বসন্ত। অথচ তার দিকেই কিনা তুলা হলো দুর্নীতির অভিযোগ!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট চলাকালীন হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে।‘ফিক্সিংয়ের’ উড়ো খবরে তোলপাড় দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন থেকে দাবি করা হয় ‘ফিক্সিং’ করেছেন দেশের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা মুশফিক।
দাবি করা হয়, ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন গত বুধবার ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। যদিও এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি সেই প্রতিবেদনে। এমনি প্রকাশের কিছু সময় পর প্রতিবেদনটি সরিয়েও ফেলা হয় তাদের সম্প্রচার মাধ্যম থেকে।
মুশফিকুর রহিমকে বলা হয় এদেশের ক্রিকেটের স্পন্দন। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ তো বটেই, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তার। যাদের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ এতদূর, হয়ে উঠেছে সমীহ জাগানিয়া দল, তাদেরই একজন মুশফিক।
এদিকে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি টাইগার উইকেটকিপার। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক, প্রতিষ্ঠানের দুই কর্তা ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মুশফিকুর রহিমের পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী শিহাব উদ্দীন খান। নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলা ও ক্ষমা প্রার্থনাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিষ্পত্তি দাবি করা হয়েছে।
তাকে নিয়ে এমন মনগড়া মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি সুশীল সমাজ ও ক্রিকেট সমর্থকরাও। এমনকি প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকর্মীরাও। প্রকাশ্যেই তথ্য-উপাত্ত বিহীন এই সংবাদের বিরোধীতে করেন তারা।