আইআরএস এর তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন বাংলাদেশিসহ হাজার হাজার আমেরিকান ব্যবসায়ী। করোনাকালীন সময়ে অসত্য তথ্য প্রদান করে কেয়ার অ্যাক্ট এর আওতায় ব্যবসা বানিজ্য দেখিয়ে অনেকেই লাখ লাখ ডলার সরকারের কাছ থেকে লোন বা অনুদান নিয়েছেন। পেচেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) ও স্মল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এসবিএ) লোন নিয়েছেন অনেকেই। শর্ত পূরন সাপেক্ষে পিপিপি লোন অপরিশোধযোগ্য। ব্যবসা দেখিয়ে এই দুটি খাতে বহু আমেরিকান ১০ হাজার থেকে মিলিয়ন ডলার ঋন নিয়েছেন। আর এসব অর্থ ব্যবসা খাতে বিনিেিয়াগ না করে ভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এ’ছাড়া ব্যবসায়ীরা অপরিশোধযোগ্য ক্রেডিট পেয়েছেন ‘এমপ্লয়ই রিটেশন ক্রেডিট’ কর্মসূচির আওতায়। যে সব ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে ৩ এর অধিক কর্মচারি রয়েছে তারা প্রতিজন কর্মচারির বিপরীতে ২৬ হাজার ডলার পাবার যোগ্য। সর্বোচ্চ ৪৯৯ জন কর্মির বিপরীতে এ ক্রেডিট পাওয়া সম্ভব। কিন্তু হাজার আমেরিকান ব্যবসায়ী এই কর্মসূচির আওতায় ‘ভূয়া’ কোম্পানী দেখিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। আইআরএস এর তদন্তে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ব্যবসা ও কর্মচারিদের জন্য এসব অর্থ ব্যয় না করে প্রমোদ তরী, বিলাস বহুল ভাড়ি ও হেলিকপ্টার কেনার মতো ঘটনা ঘটেছে। অনেকে কর্মচারির সংখ্যা জালিয়াতি করেও অর্থ নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। অনেকে তৈরি করেছেন ভূয়া কোম্পানী ও কর্মচারি।
আইআরএস এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যারা অসত্য তথ্য দিয়ে ‘এমপ্লয়ই রিটেনশন ক্রেডিট’ নিয়েছেন তাদের দেয়া অর্থ ফেরত চাওয়া হচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ৫ দিনেই ২০ হাজার চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে দেয়া ‘ইআরসি’ ক্রেডিট ফেরত চেয়ে ‘ ডিসএলাউন্স’ লেটার পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্কে ২ জন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এ ধরনের চিঠি পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পর বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
আইআরএস এর তদন্তে কয়েক লাখ ব্যবসায়ী অসত্য তথ্য পরিবেশন করে ‘ইআরসি’র আওতায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স ক্রেডিট নেবার বিষয় ধরা পড়েছে। এ সব অর্থ ফেরত চেয়ে সংস্থাটি ক্রেডিট ‘ডিসএলাউড’ সংক্রান্ত চিঠি ১০৫ সি পাঠানো শুরু করেছে। আইআরএস কমিশনার ড্যানি ওয়ারফেল বলেছেন,আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের চিঠি অনেকেই পাবেন। প্রতিদিনই আমরা অসংখ্য অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি।প্রতারণার মাধ্যমে যারা ইআরসি ক্রেডিট বা পিপিপি লোন নিয়েছেন তাদেরকে জরিমানা ও সুদ সহ সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। তবে যারা চিঠি পাবার অগেই ভলেন্টারিলি অর্থ ফেরত দেবেন তারা জরিমানার আওতায় পড়বেন না।