জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামকে সংগঠনের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার আত্মসাৎকারী বলে অভিহিত করলো। একই সাথে সংগঠনের নেতারা বলেন, নিয়ম বর্হিভূত জালাবাদের অর্থ তুলে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ ক্রয়ের নামে মইনুল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। এই অর্থ আদায়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি মাননীয় আদালতের সুবিচারে জালালাবাদবাসী এই অর্থ ফেরত পাবে। কিন্তু জালালাবাদের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল যে বাড়ি ক্রয় করেছিল তা আজ নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গত ৮ মাসে মইনুলের কাছ থেকে মর্টগেজ না পাওয়ায় তা ফরক্লোজারে যাবার পথে। এমতাবস্থায় জালালাবাদের প্রায় সোয়া ৩ লাখ ডলার নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি বৃহত্তর সিলেটবাসীকে অবহিত করার জন্যই আমরা সাংবাদিকদের সন্মুখে হাজির হয়েছি। রোববার ১০ ডিসেম্বর জ্যাকসন হাইটস্থ মামা’স পার্টি হলে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম।
বদরুল খান বলেন, মইনুল ইসলাম ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ এর বাড়িটি ক্রয়কালে অবৈধভাবে জালালাবাদের ফান্ড থেকে ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে ডাউন পেমেন্ট প্রদান করে। বাড়িটি ক্রয়কালে সংগঠনের তহবিল থেকে অর্থ নেয়ায় আমরা লিয়েন হিসেবে দাবি করি। কিন্তু মইনুল গত ৮ মাস ধরে মর্টগেজ না দেয়ায় বাড়িটি ফরক্লোজারে যাবার উপক্রম হয়েছে। তার কাগজপত্র আমরা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। আর বাড়িটি ব্যাংক নিয়ে নিলে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, মইনুলের অর্থ কেলেংকারির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আশাকরি সহসাই তার নিষ্পত্তি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্যরা হলেন আজমল হোসেন কুনু, বদরুন নাহার খান মিতা, সদরুন নুর, শফি উদ্দীন তালুকদার,আব্দুল আলীম,মিজবাহ মজিদ,মিজবাহ আহমেদ,আতাউর রহমান সেলিম,আহমেদ জিল্লু, জুনেদ এ খান,এডভোকেট নাসির উদ্দীন, ফয়সল আলম,সাইফুর খান হারুন,শামীম আহমেদ ও মান্না মুনতাসির।