নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাহের আহামদ পাটোযারী নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে ॥গত শুক্রবার স্থানীয সময় ৫টায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয।মরহুমের শ্যালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজম সোহাগ ইউএসবাংলা কে তাহের পাটোয়ারীর মৃত্যুর খবরটি জানান॥
মরহুম তাহের পাটোয়ারীর দেশের বাডী লক্ষিপুর জেলায় তিনি বাংলাদেশে অবস্থানকালে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন।নিউইয়র্কে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মরহুম তাহেরের সহধর্মিনী একই রোগে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন॥
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আজ পুরো যুক্তরাষ্ট্র বিপর্যস্ত। দেশটির নিউইয়র্ক রাজ্যেকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।নগরপিতা থেকে রাজ্য গভর্নর এমনকি দেশটির প্রধান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেরাই জানেন না কি হতে যাচ্ছে রাজ্যটিতে। সেই সাথে আরেকটি পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য নিউজার্সিরও অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিশিগান রাজ্যের অবস্থাও বেশি ভালো নেই। আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন হাজার ছাড়াচ্ছে। দেশটির নিউইয়র্ক রাজ্যে হাসপাতালে রোগী ধারণ করার জায়গা নেই। তাই অস্থায়ীভাবে ম্যানহাটনের সেন্ট্রাল পার্কে পর কুইন্সের ইউএসওপেন ভেন্যুতেও করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের খোলা হয়েছে।
কান্নার রোল বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। প্রতিদিন কারো না কারো বুক খালি করছে এই ঘাতক ভাইরাসটি। কারো পরিবারে একসাথে দুইজনও মারা যাচ্ছেন। বিধস্ত করে ফেলছে পুরো প্রবাসী কমিউটিকেও।
গত কয়েকদিন আগে নিউইয়র্কে স্বামী-স্ত্রী মারা যাওয়ার শোক কাটতে না কাটতে এক পরিবারের দুই ভাই মারা গেছেন। ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবাই প্রার্থনা করছেন। একটু আশার আলো যখন গভর্নর দেখাচ্ছেন তখন আরও যেন আতঙ্ক গ্রাস করছে সবাইকে।
শনিবার নিউইয়র্কের কুইন্সের এস্টোরিয়ার বাসিন্দা ইকবাল হক ভূঁইয়া প্রিন্স করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউজার্সি রাজ্যের আটলান্টিক শহরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। গত এক সপ্তাহ আগে প্রিন্সের বড় ভাই শিপন আহমদ নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে করোনায় মারা যান।তাঁদের বাড়ি ঢাকার গোপীবাগে। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট ৬৪ জনের প্রাণ গেল।