২০২৩ সালটি স্পেনের নারী ফুটবলারদের ভালো-মন্দের ভেতর কেটেছে। গতবছরই প্রথমবারের মতো দলটি বিশ্বকাপ জিতেছে। তবে শিরোপা জিতে পুরস্কার মঞ্চে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ঘটে। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ফরোয়ার্ড হেনি হেরমোসোকে তার অনুমতি ছাড়াই চুমু দেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক প্রধান লুইস রুবিয়ালেস।
পরে এ ঘটনার স্পেনের ফুটবলে ঝড় ওঠে। সমালোচনার তোড়ে শেষ পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন রুবিয়ালেস। এমনকি নারী দলের প্রধান কোচ হোর্হে ভিলদাও চাকরি হারান।
কোচ ভিলদার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। সবশেষ তার বিরুদ্ধে হেরমোসো অভিযোগ করেন, তিনি নাকি আন্তর্জাতিক ফুটবল চলাকালে মেয়েদের রাতে দরজা খুলে ঘুমাতে বাধ্য করতেন! আরেকজনের অভিযোগ, ভিলদা তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেন, যেন তারা শিশু। ওই নারী ফুটবলার ভিলদাকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি হেরমোসো বলেছেন, ‘(আন্তর্জাতিক খেলার জন্য জাতীয় দলে থাকার সময়) আমরা যখন ঘুমাতে যেতাম, আমাদের দরজা খুলে রাখতে হতো। রাতে আমাদের তার (ভিলদা) জন্য অপেক্ষা করতে হতো এবং তাঁকে আমাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হতো।’ কেন এমনটা করতে হতো, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হেরমোসো বলেছেন, ‘তিনি বলতেন, আমাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার এটাই তাঁর সময়। প্রথম খেলোয়াড়ের দরজা থেকে তিনি শেষজন পর্যন্ত কড়া নাড়তেন। এর মধ্যে হয়তো কেউ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ত।’
নাম প্রকাশ না করে আরেক ফুটবলার বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেন, যেন আমরা শিশু। যদিও আমাদের অনেকেই প্রায় তার সমবয়সী ছিলাম। এটা খুব জটিল ছিল। কারণ, তিনি খুব স্বেচ্ছাচারী ছিলেন। তিনি আমাদের কক্ষের সামনে দিয়ে ঘুরে যেতেন, দেখতেন রাত ১১টার সময় আমরা সেখানে আছি কি না।’