করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাহাদুর পুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের ট্রাকচালক রুহুল আমিনের (৩৫) জানাজায় তার স্বজন বা গ্রামবাসীর কেউ আসেনি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে নিয়ে পুলিশকেই জানাজা সম্পন্ন করতে হলো। পাংশা সার্কেলের এএসপি লাবীব আব্দুল্লাহ এবং পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রুহুল আমিনের জানাজায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় শ্বাসকষ্ট, কাশি, গলা ব্যথা ও ডায়রিয়া উপসর্গে সোমবার দুপুরে রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পাংশা উপজেলার বাহাদুর পুর ইউনিয়নের সেনগ্রামে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক।তিনি ঢাকায় থেকে ট্রাক চালাতেন। তিন দিন আগে এসব উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আসেন। সোমবার দুপুর ৩টায় ৩৫ বছর বয়সী রুহুল আমিনকে বাড়ি থেকে খোক্সা উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জনগণের চলাচল সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল ইসলাম জানান,মৃত্যুকালে তার করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। তবে তার শরীরে করোনা ভাইরাস ছিল কিনা তা পরীক্ষার নিমিত্তে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজবাড়ী জেলা থেকে আরো ৭জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর রিপোর্ট এখনো আসেনি।