করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ এক বিবৃতিতে ফ্রন্টের নেতারা প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার ভয়াবহতা ইতিমধ্যেই এক বৈশ্বিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্কট ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে, এ আশঙ্কা এখন সবার মনে। সরকার কর্তৃক করোনার ঝুঁকিতে পড়া ১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপকভিত্তিতে করোনা টেষ্টিং কার্যক্রম সারাদেশে বিস্তৃত করা এখন সবার আগে প্রয়োজন। কেন না, বর্তমান অবস্থায় স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, এখন এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার লাভ করার পরিস্থিতি আগতপ্রায়। এতে করে জনগণ এই মুহূর্তে এক চরম অনিশ্চয়তার ভেতর কালাতিপাত করছে। গার্মেন্টস সেক্টর খোলা এবং বন্ধ রাখার সমন্বয়হীন আত্মঘাতী সিন্ধান্ত শাটডাউনের কার্যক্রমকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করায় জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।
কোনো সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ফ্রন্টের নেতারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফা প্রস্তাবনা
১. সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী পেশার সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞগণ এবং দলমত নির্বিশেষে জাতির সকল অঙ্গের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে “জাতীয় ঐকমত্য” গড়ে তোলা;
২. প্রায়-যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা;
৩. করোনা বিস্তাররোধে বাস্তচ্যুত রোহিংগাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা;
৪. কর্মহীন শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্টস নারী শ্রমিক, হতদরিদ্র দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশু সহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্য সামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা এবং
৫.করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে “আপদকালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল” গঠন করা।
বিবৃতি দেন ড. কামাল হোসেন সভাপতি গণফোরাম, আ স ম আবদুর রব সভাপতি জেএসডি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব বিএনপি, ড. আবদুল মঈন খান সদস্য জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিএনপি, মাহামুদুর রহমান মান্না- আহবায়ক নাগরিক ঐক্যে, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী ট্রাষ্টি গণস্বাস্থ্য ও অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী চেয়ারম্যান বিকল্প ধারা বাংলাদেশ।