ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে তারা। সেই সাথে বাড়িয়ে তুলেছে প্লে অফের সম্ভাবনা। খুলনা টাইগার্সকে আজ উড়িয়ে দিয়েছে দলটি, জয় তুলে নিয়েছে ৫ উইকেটে। বিপরীতে টানা চার জয়ে আসর শুরু করলেও টানা তিন হারে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে খুলনার অবস্থান।
শুক্রবার মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে বিজয়ের ফিফটিতে ৪ উইকেটে ১৫৪ রান করে খুলনা। জবাবে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েই সেই রান পাড়ি দেয় সিলেট। হ্যারি টেক্টরও পেয়েছেন অর্ধশতক।
রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই সামিত প্যাটেল ফেরেন ১৩ রানে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও টেক্টর মিলে যোগ করেন ৩৮ বলে ৫২ রান। শান্ত ১৮ রানে মার্ক ডায়েলের শিকার হলে ভাঙে যুগলবন্দী। একই ওভারে ০ রানে ফেরেন জাকির হাসান।
এরপর মোহাম্মদ মিথুন ও হ্যারি মিলে আরো ৪২ রান এনে দেন দলকে। মিথুন আউট হন ১৯ বলে ২৪ রানে সেই ডায়েলের বলে। তবে হ্যারি তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। যদিও দলকে জিতিয়ে আসা হয়নি তার, ফেরেন ৫২ বলে ৬১ রানে।
তবে বাকি কাজটা আরামে সারেন রায়ান বার্ল। তার ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানে ৬ বল আগেই জয় তুলে নেয় সিলেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন এভিন লুইস। ১০ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাটপ। তিনে নেমে আফিফ শুরুটা করেন দারুণ, চার ছক্কায় রান বাড়াতে থাকেন। তবে তাকেও ফিরতে হয় ১৬ বলে ২৪ করে। দ্রুত ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও, (১)। ৯ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারায় খুলনা।
এরপর পাঁচে ব্যাট করতে আসেন সোহান। শুরুটা দেখেশুনে করলেও ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন তিনি। এদিকে অন্য প্রান্ত থেকে বিজয়ও খেলতে থাকেন দায়িত্বশীল ইনিংস। বিশেষজ্ঞ আর ব্যাটার না থাকায় খানিকটা চাপও ছিল তাদের। ১৪তম ওভারে এসে বাড়াতে শুরু করেন রানের গতি। শেষ ৩ ওভারে যোগ করেন ৫১।
এর আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নেন বিজয়। ৫১ বলে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। আধুনিক ক্রিকেটের সাথে না গেলেও দলের প্রয়োজনে যা বড় ভূমিকা রাখে। এদিকে সোহান তার কারিশমা দেখাতে শুরু করেন। বেনি হাওয়েলকে হাঁকান জোড়া ছক্কা। পরের ওভারে তানজিম সাকিবকে উপহার দেন জোড়া বাউন্ডারি।
শেষ ওভারে বিজয় ও সোহান মিলে রেজাউর রাজা থেকে আদায় করেন ২২ রান। ইনিংসের শেষ বলে সোহান ৩০ বলে ৪৩ করে রান আউট হলেও বিজয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৬৭ রানে।